এই বাঁশ দেয়া দেয়ির সাথে যতটা না লেনদেন প্রসংগ জড়িত তার চেয়ে বেশী জড়িত একটা কুরুচীপূর্ণ ইংগিত। আশাকরি ভাষার মাসে এমন একটা ইংগিতের ব্যবচ্ছেদ না করলেও পাঠকরা বুঝতে পারবেন আমি কি বলতে চাচ্ছি। দুনিয়াতে ভাল মানুষের কমতি নেই, আবার খারাপ মানুষের সংখ্যাও যে নেহায়েত কম তা বলা যাবেনা।
লাইজু আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। ৯০ দশকের প্রথম দিকে অপ্রয়োজনীয় একটা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নেয়ার জন্যে ভর্তি হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভোলার লালমোহনে মা-বাবার আদরে বেড়ে উঠা টগবগে তরুন, রাজনীতির সাথে কোনদিনই সম্পৃক্ত ছিলনা।
গল্পটা বেশ চালু গল্প, বিশেষ করে এঞ্জিনীয়ারিং মহলে। বাংলাদেশের কোন এক উপজেলা শহর। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের অধীনে পুকুর কাটার প্রকল্প পাশ করা হল অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। বেশ বড় প্রকল্প, বড় অংকের টাকা জড়িত প্রকল্প বাস্তবায়নে।
ভাবছিলাম রাজনীতি নিয়ে লেখালেখিতে ক’টা দিন বিরতি দেব। অনেক লিখেছি, মাঝে মধ্যে এ নিয়ে লিখ্তে গেলে নিজের কাছেই নিজকে অপরাধী মনে হয়। আমি যাদের সমালোচনা করছি তাদেরকেই তো দেশের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করছে, দেব-দেবীর মত পূঁজা করছে...
আবু বকরের পিতার কাছে সন্তান আবু বকর কি ততটাই প্রিয় ছিলনা যতটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে উনার পিতা? নাকি জাতির পিতার মৃত্যু বাকি সব মৃত্যুর চাইতে আলাদা? অধিক শোকাবহ? অধিক গুরুত্বপূর্ণ? ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব হত্যাও সংঘটিত হয়েছিল রাতের আধারে...
নিন্দা, প্রতিবাদ ও শোকবানীর ঢেউয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাসতে দেখা যায়নি অনেকদিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১৮মাস বন্ধ থাকার পর আর্ন্তদলীয় কোন্দলে অস্ত্র ও পেশী প্রদশর্নীর পাশাপাশি রক্তও ঝরছিল একটু আধটু। এ বিবেচনায় আবু বকরই বোধহয় প্রথম লাশ।
গলার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, সন্দেহ নেই খুব শীঘ্র পায়ের আওয়াজও পাওয়া যাবে। এমনটা হতে বাধ্য, কারণ ৯০দিন ঘনিয়ে আসতে পারে যে! যাদের জানা নেই তাঁদের কানে কানে বলছি, ৯০ দিন পার হয়ে গেলে বেতন-ভাতা, হাতখরচ, পকেট খরচ, তেল খরচ ও যাবতীয় খরচ সহ আস্ত সদস্যপদই বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
দিন তারিখ মনে রাখার অভ্যাস নেই, তাই ঘটনার তারিখটা (এমনকি সন) চাইলেও মনে করতে পারছিনা। অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল বিশ্বচ্যম্পিয়নের মুকুট নিয়ে সবেমাত্র দেশে ফিরেছে। দেশটার ক্রিকেট পাগল প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড সিদ্বান্ত নিলেন জাতীয় বীরদের এই বীরত্বকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করতে হবে।
এ ধরনের একটা লেখা এ মুহুর্তে এপ্রোপ্রিয়েট হবে কিনা ভেবে পাচ্ছিনা। কিন্তূ ওয়াচ্ডগী করতে গিয়ে সময় ও বাস্তবতার সাথে সমঝোতা করতেও কোথায় যেন বাধে। যাদের জন্যে লেখাটা বদহজমের কারণ হবে অনুরোধ করব একটু ধৈর্য্য ধরতে। ব্লগ মানেই মনের মত লেখার আসর, এমনটা হলে এ মাধ্যমের মূল আকর্ষনটাই হয়ত কমে যাবে...
পেটপুরে মিষ্টি খাওয়া হয়না অনেকদিন। কলেজ জীবনে পলটন মোড় হতে নিউমার্কেটগামী বাসটা ধরে ঢাকা কলেজের সামনে নামতেই হাতের ডানে পরত মরণচাঁদ মিষ্টান্ন ভান্ডারটা। প্রিয় জায়গাটায় ঢুঁ মারতে শনি মংগলবারের প্রয়োজন হতনা। সকালের নাস্তাতেও মিষ্টি যোগ করতাম অনেকটা বাধ্য হয়ে। বিদেশে মিষ্টি পাওয়া যায়না...
