Gulag Archipelago এবং বাংলাদেশে আওয়ামী ethnic cleansing

Submitted by WatchDog on Friday, July 17, 2009

Bangladeshi

রুশ লেখক আলেক্সজানডার সলঝেনেৎসিং'এর Gulag Archipelago উপন্যাসটা যারা পড়েছেন তাদের হয়ত সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ পরিচালনা সর্ম্পকে সম্যক কিছু ধারনা থাকতে পারে। উপন্যাসটা পড়ে দেখবেন। সময়টা ইউরি আন্দ্রোপভের গহীন অন্ধকারের সময়। সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের পাওয়ার সাপ্লাই অথরিটির এক এঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশে যাবেন। সোভিয়েত সহায়তায় নির্মিত ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইন্সটলেশন এঞ্জিনিয়ার হিসাবে স্বদেশী টিমের সাথে যোগ দেবেন। ঐ সময়টায় একজন সোভিয়েত নাগরিকের বিদেশ যাত্রা অনেকটা চাদে যাওয়ার মতই মনে করা হত, তা যে দেশেই হোক না কেন। এমন যাত্রার প্রেক্ষাপট ছিল খুবই বিশাল এবং তা শুরু হত যাত্রীর ব্যকগ্রাউন্ড পরখের মাধ্যমে। এই ব্যাকগ্রাউন্ডের আওতায় কেবল যাত্রী নিজেই থাকতেন্‌না সাথে থাকত তার অন্তত পূর্ববর্তী দুই প্রজন্ম। মৃত দাদা-দাদী, নানা-নানী সহ সবার অতীত কর্মকান্ড মাইক্রোস্কোপে যাচাই বাছাই করা হত, এবং বংশের কাউকে সমাজতন্ত্র তথা সোভিয়েত শাষন ব্যবস্থার বিরুদ্বে জড়িত পাওয়া গেলে বিদেশ যাত্রা চীরতরের জন্য বন্ধ হয়ে যেত। উল্লেখিত এঞ্জিনীয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড গিলোটিন পার হয়ে বাংলাদেশে যেতে পারেন্‌নি কারন ইতিহাস ঘেটে পাওয়া যায় তার এক কাজিন কোন এক মদের আসরে মাতাল হয়ে সোভিয়েত লৌহ শাষনের বিরুদ্বে মাতলামি করে ছিল। মাতলামি শেষ হয় মারামারী এবং পুলিশী আগমনে (সোভিয়েত সমাজে এটা খুবই ডলাভাত)।

খবরে প্রকাশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে গোলাম আজমের পুত্র বিগ্রেডিয়ার আজমীকে বিতারিত করা হয়েছে যথাযত কোন কারন না দেখিয়ে। আসল কারন যে ব্যাকগ্রাউন্ড চেক তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তূ ২৯ বছর চাকরী করার পর হঠাৎ করে এ ধরনের পরীক্ষায় একজন ব্রিগেডিয়ার ফেল করবেন, রহস্যটা কোথায়? আওয়ামী লীগ কি তাহলে যুদ্বাপরাধী বিচারের পাশাপাশি ethnic cleansing শুরু করে দিল? কে যেন একজন লিখেছিলেন শেখ হাসিনার কাছে যারাই আওয়ামী লীগ করবেনা তারাই উনার পিতার খুনী এবং অপরাধী। স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর দেশের অর্ধেকেরও বেশী মানুষকে সে অপরাধে আদালতের কাঠগড়ায় দাড় করানোর প্রক্রিয়া সূত্রপাতই বোধহয় ব্রিগেডিয়ার আজমীর বিদায়। পাশাপাশি আওয়ামী সরকার কয়েক লাখ দলীয় ক্যাডারকে সরকারী চাকরী সহ বিভিন্ন চাকরীতে বসাতে যাচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। দেশকে বিভক্ত করার এই হঠকারী প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে গেল পূরো বাংলাদেশকেই সোভিয়েত দেশের Gulag Archipelago বানাতে হবে। বাস্তবতা হল, এক দলীয় লৌহ শাষনের দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন যেমন ইতিহাসের আস্তাকূড়ে ঠাই নিয়েছে তেমনি এর Gulag Archipelagoও ইতিহাসে ঠাই নিয়েছে হিটলারের গ্যস চেম্বারের পাশে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন