স্বাগতম ১৪১৬ - নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে।

Submitted by Visitor (not verified) on Wednesday, April 15, 2009

ধর্মের সাথে জাতির কোনো বিরোধ নাই |

স্বাগতম ১৪১৬ - নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে। আগমনী বৈশাখী ঝড়ে উড়ে যাক সকল হতাশা, বর্ষায় ধুয়ে যাক মনের কুলুষতা এবং বয়ে আনুক পবিত্রতা, শরতের শুভ্রতা আর হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় সজীব হউক বাঙ্গালীর হূদয়, শীতের শীতল পরশ আর যৌবনদীপ্ত উদাস বসন্তের বাসন্তী আবেশে কেটে যাক আপনার সারাটি বছর। - নতুন বছরে সকলের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনায় |নতুন আশা নতুন প্রাণ, নতুন সুরে নতুন গান, নতুন ঊষার নতুন আলো, নতুন বছর কাটুক ভালো। - এই কামনায় e-mela পাঠক ফোরামের সকল বন্ধুদের জানাই "শুভ নববর্ষ" |আমেরিকা কানাডা ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ রাষ্ট্রসমূহে বহু জাতির বাস, এইসব দেশের নাগরিকগন বিভিন্ন জাতির। বাংলাদেশে বাঙ্গালী, গারো, চাকমা, মার্মা, খাসিয়া, টিপড়া বিভিন্ন জাতির বাস। যদিও বাঙ্গালী জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিন্তু সকলেই আমরা বাংলাদেশী নাগরিক। গৌরবময় বাঙ্গালী জাতিসত্বা আমদের অহংকার। পৃথিবীর যেথায় আমি থাকি না কেন আমি বাঙালী, বাংলা আমার দেশ, লাল সবুজের পতাকা আমার হাতে। আমি শুধুই কেবল বাংলার স্বপ্ন দেখি, বাংলায় গান গাই, বাংলায় আবেগাপ্লুত হই। আর পৃথিবী, সেতো অবশ্যই বিধাতার সৃষ্টি এক শ্রেষ্ঠ গ্রহ। এই গ্রহের সব মানুষের প্রতিই আমরা মানবিক। পৃথিবীর সব মায়েরাই উত্তম তবে কেউই আমার মায়ের মতো না, সে যে বিধাতার সৃষ্টি আমার শ্রেষ্ঠ মা।আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে আমার সারা মন প্রাণ। শ্যামল কোমল হরষ ছাড়া নেই যেন মোর আর কোন প্রয়োজন। বাংলার বাতাসে আমার সবুজ স্বপ্ন দুলছে কণ্ঠে যেন আমার সেই সুর বাজছে। আমার মায়ের আঁচলে মুখ বুজে আমি সেই সুবাস শুকছি" - ও আমার বাংলা মাগো, আমি যে তোমার সন্তান। আমার জাতি, আমার দেশ আর আমার মাকে বড় করে দেখার কারনে কেউ যদি আমাকে সংকীর্ণ মানসিকতার বলে গালি দেয়, আমি চুমুভরে সেই গালি গ্রহন করবো। কারন ইহা যে আমার গর্ব।বাংলাদেশ সুন্দর, বাঙালিত্ব মহান, আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ - এ শুধু আমার কাছে, আমার দৃষ্টিতে। ভিন দেশের মানুষের কাছে তার দেশ, তার জাতি অবশ্যই তার কাছে সুন্দর। "চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমারে দু'দন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন" সে যে আমার আদরিনী বাংলা মা। "বহু দেশ দেখিয়াছি, বহু নদ-দলে, কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে" - শুধুই নদীমাতৃক বাংলার জলে। সে যে আমার বাংলা মাগো, আমি যে তার সন্তান। কিন্তু বাংলাদেশের চেয়ে বেশী সৌন্দর্য আপনি খোঁজে পেয়েছেনে কি? আমার গ্রামের চেয়ে সুন্দর কিছু আমি পৃথিবীর কোথাও খোঁজে পাইনি। গ্রামটির উপর দিয়ে বয়ে গেছে শাপলা শালুক ফোঁটা বিল, বিলের ধারে হিজল তমালের ডালে স্বেতশুভ্র বক,এহেন রূপ আমি দেখিনি পৃথিবীর আর কোথাও। সে যে আমার বাংলা মা আমি তার সন্তান।আমরা মুসলমান,হিন্দু,ধর্ম হিসাবে জনম নিলেও,নাগরিকত্ব বাংলাদেশি,জাতীয়তা বাঙালি(কারন আমাদের ভাষা বাঙলা)।

ধর্ম নিরপেক্ষ মারকা সাংবাদিকেরা জামাতে ইসলামীর বিরোধীতা করতে গিয়া এরা ইসলাম ধর্মেরও বিরোধীতা করছে। ধর্ম নিরপেক্ষ মারকা ভাইদের বলছি, বাংগালী-'বাংলাদেশী' সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প মন থেকে মুছে ফেলে সর্ব প্রথম মানব ধর্মের অনুসারী হউন|মুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযোদ্ধা বলে মুখে ফেনা তুলে,বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরই এখন রাজাকার বানিয়ে ফেলেছে।কারন মুসলমান মুক্তিযোদ্ধারা আগে নিজেকে মুসলমান মনে করে,তারপর সে বাঙালি এবং বাংলাদেশি নাগরিক।ধর্মের সাথে জাতির কোনো বিরোধ নাই।বাংলাদেশের বাংগালীরা মুসলমান পরিচয় দিতে এত বাধা কেন?বাংগালী হিন্দুরা কি কোন দিন বলেছে আমি হিন্দু নয় বাংগালী।এই দুনিয়াতেই ইহুদী নামে একটি ধর্মগোস্ঠী আছে যারা নিজেদের ইহুদী জাতি হিসাবেও পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করে। হিন্দু মুসলিম খ্রীষ্টান বৌদ্ধ সকলেই আমরা জাতিতে বাঙালী। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের নাগরিকদের পরিচয় 'বাংলাদেশী', কেউ বাঙালী জাতি, বাংলাদেশী নাগরিক,ধর্মে ইসলাম বা হিন্দু। আবার কেউ চাকমা জাতি,বাংলাদেশী নাগরিক,ধর্মে বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান। বিতর্কের কিছু নেই।বাঙালী এবং বাংলাদেশীর মধ্যে কোনো দন্ধ নাই। আমরা বাঙালী জাতি, বাংলা আমাদের দেশ, আমরা বাংলাদেশী নাগরিক। গারো, চাকমা, মার্মা, খাসিয়া, টিপড়ারা বাঙালী নয় কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিক। এই হলো জাতি এবং নাগরিকত্বের পার্থক্য। জাতিয়তাবাদ একটি ভ্রান্ত শব্ধ যা শুধুই কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহূত হচ্ছে।আদিবাসীদের বাংগালী হতে বলেছিলেন বাংলাদেশের স্হপতি বংগবন্ধু|'তোরা সব বাংগালী হইয়া যা'। আদিবাসী চাকমারা তারপর হাতে আর্মস তুলে নেয়, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে|একজন নেপালি বাংলাদেশে বসবাস করলেও বাংগালী হইতে পারবে না, তার সন্তানেরাও হইতে পারবে না। গারো বা চাকমারা শত শত বত্সর বাংলাদেশে বসবাস করে কি তারা বাংগালী হইতে পেরেছে? তবে তারা বাংলাদেশী হতে পারবে। বিস্বখ্যাত মুষ্টিযুদ্ধা মোহাম্মদ আলীও একজন বাংলাদেশী। তাঁকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছিল।একজন নেপালি বাংলাদেশে বসবাস করলেও বাংগালী হইতে পারবে না, তার সন্তানেরাও হইতে পারবে না। গারো বা চাকমারা শত শত বত্সর বাংলাদেশে বসবাস করে কি তারা বাংগালী হইতে পেরেছে? তবে তারা বাংলাদেশী হতে পারবে। বিস্বখ্যাত মুষ্টিযুদ্ধা মোহাম্মদ আলীও একজন বাংলাদেশী। তাঁকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছিল।

বাংগালী জাতির কাজ কাম মনে হয় অনেক কম।দেশে হাজারও বৈষম্য, ও দারিদ্রসহ হাজারও জাত সমস্যার সম্মুখে নেতা নেত্রীদের লাঠা-লাঠি আর দৈনিক কাগজে লেখকদের চামচামি দেখে তখন দুঃখ লাগে। একটা(বাংলাদেশি-বাঙালি) শব্দ নিয়া যেই কোতাকোতি আরম্ভ করছে, এই নিয়া আবার আর এক স্বাধীনতা যুদ্ধ না হয়।অর্থহীন বালচাল স্বরুপের পিছে টাকা না খরচ কইরা যে সব বাঙালীরা রাস্তায় পইড়া আছে খাইতে পায় না তাগোরে দে। তাই জাতিস্বত্তা বাইচা থাকবো। আমাদের তাই সংকির্ণ জাতীয়তার উর্ধে ওঠা উচিত।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন