মৃত্যু একটি অবধারিত বাস্তবতা।

Submitted by WatchDog on Wednesday, October 4, 2023

মৃত্যু একটি অবধারিত বাস্তবতা। এ হতে পালানোর উপায় নেই। আমি, আপনি, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনাও এর বাইরে নন। সংকটময় অবস্থায় বিদেশে উড়িয়ে নিয়ে চিকিৎসা করানো বাংলাদেশে নতুন না। বিশেষকরে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ বাস্তবতা একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
কথিত আছে শেখ হাসিনার কেবিনেটের জনৈক প্রৌঢ় রেল মন্ত্রী তার সদ্য বিবাহিত তরুণী স্ত্রীকে বিছানায় সুখ দেয়ার জন্যে অতিরিক্ত ভায়াগ্রা সেবন করে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলেন। এমন একজনকেও সরকারী অর্থে এয়ার এম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে (থাইল্যান্ড!) পাঠানো হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে টানাটানির সময় এটা না। সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হতে পারে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায় বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। মৃত্যু এখন সময়ের ব্যপার মাত্র। অন্তত মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি এবং হাসপাতালে কাটানো সময় বিবেচনায় নিলে তেমনটাই প্রতীয়মান হয়।
জনাবা জিয়া নিজকে একজন আপোষহীন নেত্রী হিসাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। এই আপোষহীনতা দেশীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ভাল কি মন্দ তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। কিন্তু শেষ বেলায় এসে ব্যক্তিত্বের এই ধারাকে উলটে দেয়া কতটা সমীচীন হবে তা উনার দলের নেতারাই বলতে পারবেন।
আমরা যারা দলীয় প্রভাবে প্রভাবিত নই তাদের বিচারেও জনাবা জিয়া ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ভিক্টিম। আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করার যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে তাতে উনার সংশ্লিষ্টতা ক্যাঙ্গারু আদালতও প্রমাণ করতে পারেনি। দেশের বিচার ব্যবস্থা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের অন্যতম হাতিয়ার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপ কিংবা খালেদা জিয়ার শাস্তি সবটাই শেখ হাসিনার রায়, আদালত অথবা বিচার ব্যবস্থা এখানে হুকুমের দাস মাত্র। নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচারকবৃন্দ এ মুহূর্তে ফ্যাসিবাদের পোষ্য কুকুর বৈ অন্য কিছু নয়।

এসব কুকুরদের দয়া ভিক্ষা নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে পারলেও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক মৃত্যু হবে। উনার লেগ্যাসিতে কালিমা লেপন হবে। জীবনের শেষ বেলায় এসে এমন সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী যার সুফল ভোগ করবে ফ্যাসিবাদ ও তার পোষ্য কুকুরের দল।

খালেদা জিয়ার আপোষহীন ব্যক্তিত্বের ইমেজ ধরে রাখলে চাইলে এ মুহূর্তে বিএনপির উচিৎ হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আল-আউট আন্দোলনে যাওয়া। ঘরে বসে আল্টিমেটাম দিয়ে ফ্যাসিবাদের বিদায় আশা করে থাকলে ফখরুল সাহেবরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে খালেদা জিয়ার প্রতি অনুকম্পা দেখাবেন এমনটা যারা আশা করছেন তারা হয়ত বেজন্মা এই স্বৈরাচারকে চিনতে ভুল করছেন।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন