খুচরো খবর...

Submitted by WatchDog on Saturday, April 16, 2022

১) পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যাক্তি ইলান মাস্ক এবার নজর দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটারের দিকে। ইতিমধ্যে এই কোম্পানির ৯% স্টক ক্রয় করার মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদে যোগ দিয়েছেন। আরও ঘোষণা দিয়েছেন, ৪৩ বিলিয়ন ডলার দিয়ে গোটা কোম্পানিকে ক্রয় করার জন্যে তৈরি হচ্ছেন। তা সম্ভব হলে টুটারকে তিনি পাব্লিক হতে প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত করবেন। এবং তার নিয়ন্ত্রণে টুইটারে কাউকে ব্যান করা হবেনা।

এমন ঘোষণা দিয়ে তিনি আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ম্যাসেজ দিয়েছেন। আমেরিকার প্রাক্তন বর্ণবাদী এই প্রেসিডেন্টকে টুইটার আজীবনের জন্যে ব্যান করেছিল। বলাই বাহুল্য, টুইটার ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদ ছড়ানোর অন্যতম প্লাটফর্ম।

অতীতের বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বর্ণের প্রতিনিধি ইলন মাস্ক নিজেদের অতীতকেই যেন আমেরিকায় টেনে আনার চেষ্টা করছেন, এমনটাই মনে করছে আমেরিকার প্রগতিশীল অংশ। টুইটারকে প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যে তা উন্মুক্ত করে দিলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে তার। টুইটারের মালিকানা নেয়ার পেছনে মাস্কের এই হিডেন এজেন্ডা এখন টক অব দ্যা টাউন।

তবে টুইটারও বসে নেই। 'পয়জন পিল' ডিফেন্স ম্যানুভারের মাধ্যমে মাস্কের টেইকওভার ঠেকানোর চেষ্টা করছে টুইটার। 'পয়জন পিল' ডিফেন্স হচ্ছে ফ্লোটিং কোম্পানিকে মাস্কের মত হাঙ্গরদের আগ্রাসন হতে রক্ষা করার এফেক্টিভ ম্যানুয়েভার।
ব্যপারটা এরকম: একক কোন স্টক হোল্ডার ২০% শেয়ার কেনার সাথে সাথে বাকি শেয়ার হোল্ডাররা ডিসকাউন্ট মূল্যে শেয়ার কেনার অপশন উন্মোচিত হয়। বেড়ে যায় আউটষ্টেন্ডিং শেয়ার। একক কারও পক্ষে জটিল হয়ে যায় এই কোম্পানির ৫১% শেয়ার কেনা।
টুইটার ক্রয়ে ব্যর্থ হলে নতুন এক সোশ্যাল মিডিয়া ফ্লোট করার ঘোষণা দিয়েছেন জনাব মাস্ক। অনেকে মনে করছেন এমনটা করলে তা হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যে সুসংবাদ।

২) সোলার প্যানেলের মত বাজারে আসছে হাইড্রো প্যানেল। এই প্যানেল সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে বাতাস হতে তৈরি করবে পরিষ্কার পানি। এখন পর্যন্ত এই প্যানেল দৈনিক ৪ হতে ১০ লিটার পর্যন্ত পানি তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। এবং তা নির্ভর করে বাতাসের আর্দ্রতার উপর। এ নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রয়েছে এবং বিশেষজ্ঞদের ধারণা সোলার প্যানেলের মত এই প্যানেলও একসময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। বিশেষকরে ঐ সব অঞ্চলে যেখানে পান করার পানির ব্যাপক অভাব রয়েছে।

৩) ইসরায়েলি কোম্পানি The Eviation Alice ৯জন যাত্রী ও ২ জন ক্রূ নিয়ে উড়তে সক্ষম এমন এক ইলেকট্রিক বিমানের উপর গবেষণা চালাচ্ছে, যা চালাতে কোন তেলের দরকার হবেনা। ব্যাটারি চালিত এই বিমান ফ্লাইট শেষে রি-চার্জ করে আবারও উড়তে পারবে। ইলেকট্রিক গাড়ির মত ইলেকট্রিক বিমান এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। Fossil fuel'এর উপর নির্ভরতা কমাতে মার্কিন সরকার গবেষণা খাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে যা ভবিষ্যতে রাশিয়া ও সৌদি আরবের মত অগণতান্ত্রিক দেশ ও তার স্বৈরশাসকদের উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন