সারোগেসি পদ্ধতি কি এবং কেন...

Submitted by WatchDog on Saturday, February 12, 2022

সারোগেসিসন্তান জন্ম দেয়ার সারোগেসি পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বে। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী মডেল প্রিয়াংকা চোপরা ও গায়ক নিক জোনাস পরিবার। গর্ভধারন না করেও অভিনব পদ্ধতিতে কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন মিস চোপড়া। বাংলাদেশের মত মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে এ ধরণের গর্ভধারণ আইন ও ধর্মীয় বিচারে বৈধ কিনা তা স্পষ্ট নয়। সারোগেসি পদ্ধতি কি এবং কেন আসুন এ নিয়ে কথা বলি।

মূলত দুটি কারণে ফাংশনাল একটি পরিবার পা বাড়ায় সারোগেসির দিকেঃ এক, সন্তান লাভে ব্যর্থতা, দুই, প্রেগনেন্সি জটিলতা হতে নিজকে দূরে রেখে শরীরের আবেদন অটুট রাখা। সরোগেসির জন্য স্বামী-স্ত্রী অথবা কাপল অন্য একজন মহিলার গর্ভ ভাড়া করেন। দেশে দেশে অনেক এজেন্সি আছে যারা এই কাজে নিজেদের সার্ভিস দিয়ে থাকা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক চাইদা মেটাতে একজন মহিলা তার গর্ভ ভাড়া দিয়ে থাকেন। এজেন্সির মাধ্যমে দুই পক্ষের চুক্তি হয়। চুক্তি শেষে একপক্ষ অন্য পক্ষের হাতে জন্ম দেয়া সন্তান তুলে দেয় নিজের পাওনা বুঝে নেয়। গর্ভধারিনী মহিলার পরিচয় সরোগেট মাদার হলেও নিজের পেট হতে জন্ম দেয়া বাচ্চার উপর তার কোন অধিকার থাকেনা।

সারগেসি দুই রকম যা নির্ধারিত হয় দুই পক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক। একঃ পার্সিয়াল সারোগেসি, দুইঃ জেস্টেশনাল সারোগেসি। পার্সিয়াল সারোগেসিঃ এই পদ্ধতিতে মায়ের কোন বায়োলজিক্যাল ভূমিকা থাকেনা। বাবার শুক্রানু ও সারোগেট মা'র ডিম্বানু ল্যাবরোটরিতে ফার্টিলাইজ করে ভ্রুণ তৈরী করা হয়। এবং সে ভ্রুণ সারোগেট মা'র জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করে সন্তান তৈরী করা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় মূলত আসল মা'র বন্ধ্যাত্ব জাতীয় কোন সমস্যা থাকলে। একই সমস্যা থাকতে পারে বাবার শুক্রানুতে। এ ক্ষেত্রে স্পার্ম ব্যাংক অথবা অন্যকোন সোর্স হতে দ্বিতীয় কোন পুরুষের শুক্রানু ব্যবহার করে ফার্টিলাইজ করা হয়।

জেস্টেশনাল সারোগেসিঃ এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় মূলত এমন সব কাপলদের বেলায় যেখানে স্ত্রী গর্ভধারণের ঝামেলায় যেতে চান না। এই পদ্ধতিতে আগত সন্তানের প্রতি বায়োলজিক্যাল ক্লেইম থাকে আসলে মায়ের। কারণ আসল বাবার শুক্রানু ও মা'র ডিম্বানু ল্যাব্র ফার্টিলাইজ করে ভ্রুণ তৈরী করা হয়। ঐ ভ্রুণ প্রতিস্থাপন করা হয় ভাড়া করা গর্ভে। এ ক্ষেত্রে সারোগেট মা কেবল নিজের গর্ভকেই ব্যবহার করেন অন্যকিছু না। যার জন্যে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগুচ্ছে। আবিস্কারের অনেক কিছু এ মুহূর্তে আমাদের কাছে অস্বাভাবিক হলেও একটা সময় আসবে যখন এসব আমাদের চমকিত করবেনা।

সাইড নোটঃ আমি ডাক্তার নই। তাই সারোগেসির উপর যা লিখেছি তা সম্পূর্ণ কিনা জানিনা। ভুল হয়ে থাকলে তা হবে জ্ঞানের অভাব। আগ বাড়িয়ে এ লাইনে যারা অভিজ্ঞ তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন