বিয়ের প্রলোভন ও ধর্ষণ!

Submitted by WatchDog on Sunday, October 4, 2020

প্রেমঘটির ব্যপারে আমি একটু কাঁচা। তাই এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় যাওয়া আমাকে বোধহয় মানায় না। বিশেষকরে বাংলাদেশের কনটেক্সটে। স্কুল ও কলেজ শেষ করে দেশ ছেড়েছিলাম। সময় স্বল্পতার জন্যেই হয়ত দেশীয় প্রেমের রসায়ন ভালভাবে ষ্টাডি করা হয়নি। বাইরের যেসব দেশে বাস করেছি বা করছি ওসব দেশে প্রেম ভালবাসার নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা আছে বলে মনে হয়না। প্রাপ্ত বয়স্ক দুজন মানুষ নিজেদের সম্পর্ক কোন লেভেলে নিয়ে যাবে তা একান্তই তাদের দুজনের ব্যপার। এ ব্যপারে রাস্ট্র অথবা সমাজের বেশিকিছু করার থাকেনা। ভাললাগা পেরিয়ে ভালবাসার প্রথম প্রহরে শারীরিক মিলন এসব দেশে প্রায় অলিখিত নিয়ম। সম্পর্কের এক পক্ষ ভাল করেই জানে দ্বিতীয় পক্ষের চাহিদা না মেটালে সম্পর্কের এ দৌড় বেশিদূর গড়াবেনা। অনেক দেশে বিয়ে করলে সরকারকে অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হয়। সংসারের এ অতিরিক্ত খরচ এড়ানোর জন্যে ওসব দেশে অনেকেই তাদের সংসার অফিসিয়ালি রেজেস্ট্রি করেনা।

ধর্ষণ সংক্রান্ত বাংলাদেশের অভিযোগ গুলোর অধিকাংশের সারমর্ম হচ্ছে...বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর এখন আর বিয়ে করতে চাচ্ছেনা। অর্থাৎ, দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারী নিজেদের রোমান্টিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় আচারে এ ধরণের মিলন অগ্রহনযোগ্য হলেও বাংলাদেশের কোন আইনে কি বলা আছে এ মিলন ধর্ষণ? বিয়ের আগের মিলন যদি ধর্ষণ হয় তাহলে যারা এ কাজে লিপ্ত হয়েছিল আইনের চোখে দুজনেই সমান অপরাধী হওয়ার কথা! এ ধরণের 'অপরাধ' ভবিষৎ কোন ইভেন্ট (বিয়ে) দিয়ে জাস্টিফাই করা অন্তত আইনের চোখে ভ্যালিড হওয়ার কথা নয়।

নূর ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের যে মামলা করা হয়েছে তার কাহিনীও প্রায় একই রকম। ...অনেকটা কেউ কথা রাখেনির মত। আমরা কিভাবে বিশ্বাস করবো শারীরিক সম্পর্কের আগে নুরের সহযোগী হাসান আল মামুন ঐ ছাত্রীকে বিয়ের কমিটমেন্ট করেছিলেন। কোন ডকুমেন্ট আছে কি?

এ মামলায় মামুনের সহযোগী হিসাবে আরও ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। যার অন্যতম ডাকসুর সদ্য বিদায় নেয়া ভিপি নুরুকল হক নুরু। প্রশ্ন উঠবে, ভালবাসার কপোত-কপোতির শারীরিক মিলনে আদৌ কি সহযোগীর দরকার হয়েছিল? অভিযোগ উঠেছে, একই মেয়ে এর আগেও অন্য এক ছেলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল। ব্যপারটা কি দাঁড়ায় তাহলে, একজন মেয়ে বিয়ের সন্ধানে দুয়ার হতে দুয়ারে কড়া নাড়বে এবং মিশন ব্যর্থ হলে ধর্ষণ মামলায় আটকে ওদের সবাইকে আইনের হাতে তুলে দেবে?

নুরু ও তার সহযোগীদের পেটানোই যদি সরকারের মূল উদ্দেশ্য ছিল তাহলে তাতে তারা সফল হয়েছে। পুলিশ বেশ ভালভাবেই পিটিয়েছে তাদের। সমস্যা হচ্ছে নুরুর চামড়া ইতিমধ্যে বেশ মোটা ও শক্ত হয়ে গেছে। তাকে এতবার পেটানো হয়েছে যে নতুন করে পিটিয়ে দমানোর পথ খোলা নেই। প্রতিপক্ষ দমনের এসব পুরানো ট্রিক পাবলিক আর ভক্ষণ করেনা। শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্র চীরস্থায়ী করতে তার তাবেদার বাহিনীদের নতুন কোন দিগন্ত আবিস্কার করতে হবে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন