খেলারাম খেলে যায়...

Submitted by WatchDog on Sunday, July 19, 2020

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদদের অতীত অথবা বর্তমান পরিণতি নিয়ে অনেকের মত আমারও কোন উথাল পাথাল নেই। কারণ আমি কনভিন্সড দেশটার রাজনীতির মাঠে যারা আছেন তাদের শতকরা ২০০ ভাগের একটাই উদ্দেশ্য, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাওয়া। মুল খাওয়াটা খাবে দুই পরিবার, আর অবশিষ্ট যা থাকবে তা নিয়ে কামড়া কামড়ি করবে যদু, মধু, রাম, শ্যাম, উজির, নাজির আর কোতয়ালের দল। এটাই এখন দেশীয় রাজনীতির মূল ফর্মুলা। বাকি সব ভাওতাবাজী, ধাপ্পাবাজী, কলা-কৌশল আর ললনা ছলনা।

সন্দেহ নেই ক্রিসেন্ট গ্রূপের চেয়ারম্যান জবান আবদুল কাদের সাহেব ভাগ্যবানদের একজন। তেনার ভাগ্যে উচ্ছিষ্টের ১১০০ কোটি জমা হয়েছে। বেশ স্বাস্থ্যবান একটা এমাউন্ট। অনেকটা কুরবানীর মাংস ভাগ-বটোয়ারার মত দেশকে এখন ভাগ করছেন আওয়ামী উচ্ছিষ্টখোরের দল। হয়ত হতভাগা-অভাগাদের একজন ছিলেন আমাদের কাদের সাহেব। তাই তেনার ভাগ্যের ভাগাটা একটু বড়। অবশ্য চেতনার ডাইরেক্ট সেনাদের ভাগার খবর বাজারে না থাকায় ঠিক বুঝা যাচ্ছেনা কাদের সাহেবের ভাগার স্বাস্থ্য কতটা হেলথি। এই কাদের সাহেব গ্রেফতার হয়েছিলেন এটাই আমার জন্যে আসল খবর। আপনি যদি পরনের কাপড় খুলে নিজের পশ্চাৎদেশ উন্মুক্ত করেন, তখন কেউ না কেউ এর সুযোগ নেবেই। অবৈধ ক্ষমতার অলৌকিক প্রধানমন্ত্রী দেশকে এক অর্থে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। দিকে দিকে উচ্ছিষ্ট ছিটাচ্ছেন। কাদের সাহেবের মত অনেকেই এসব উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। এখানে গ্রেফতার প্রসংগ কেন আসছে বুঝা গেলনা। আমার কাছে কেন জানি এ গ্রেফতার পর্ব হলিউডের রাসেল ক্রো অভিনীত গ্লাডিয়েটর ছবির কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি হয়ত উঁচুতে বসে উপভোগ করেন কাদের চোরাদের উত্থান পতন।

১১০০ কোটি লোপাটের 'মহানায়ক' জনাব কাদেরকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার স্পেশাল জাজ জনাব ইমরুক কায়েস। আমাদের বুঝা হয়ে গেছে দেশের আইন-আদালতের নিয়ন্ত্রক আসলে কে। কোথা হতে আসে শাস্তি অথবা জামিনের নির্দেশ। ডিপোসড প্রধান বিচারক সিনহা সাহেব তা পরিস্কার করে গেছেন। নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচারকগন হচ্ছেন একদল গৃহপালিত ও বিশ্বস্ত কুকুর। মনিবের মনোরঞ্জন ও পাহাড়া দেয়াই তাদের আসল কাজ। কাদের সাহেবকে কিছুদিন জেলের ভাত খাইয়ে মনিব মজা নিয়েছেন। এবার ছেড়ে দেয়ার পালা। তাই ছেড়ে দিয়েছেন। এসব নিয়ে যারাই উচ্চবাচ্য করবেন তাদের হয় চেতনা অথবা অলঝাইমা্র রোগ আছে।

১১০০ কোটি টাকা লোপাটকারীকে দেশের আদালত জামিন দেয়। এখানেই আসে খালেদা জিয়ার প্রশ্ন। বেচারার বিরুদ্ধে অভিযোগ আড়াই কোটি টাকার। তাও তিনি নিজে আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ নেই। জামিন পেলে হাওয়া হয়ে যাবেন এরও কোন সম্ভাবনা নেই। তাহলে কেন জামিন পাচ্ছেন না! চেতনা রোগে রোগাক্রান্তদের ভাষ্য তিনি এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। টাকার উপর এতিমদের সীল থাকে কিনা জানা নেই। তবে যতদূর জানি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের টাকার উৎস মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ। এবং এ টাকা বিশেষ একজনের নামে গড়ে উঠা ফান্ডের জন্যে এসেছিলো। যদি মিথ্যা না হয়, অভিযোগের আড়াই কোটি টাকা বিভিন্ন জনের একাউন্ট ঘুরে খালেদা জিয়ার সন্তানদের ফান্ডে এসেছিল। এখানে খালেদা জিয়ার অপরাধটা কোথায় বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে। কাউকে ধরতে হলে তা হবে তারেক জিয়া ও মৃত ককো জিয়া।

একজন মৃত্যু পথযাত্রী বয়স্কা মহিলাকে জেলে রেখে তিনি বোধহয় গ্লাডিয়েটরদের খেলা উপভোগ করছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে, দিন শেষে সব খেলারই শেষ থাকে। হাফটাইমের পর ফুলটাইমও শেষ হয়।য়া

ভালো লাগলে শেয়ার করুন