জবাব চীনকেই দিতে হবে...

Submitted by WatchDog on Tuesday, April 7, 2020

করোনা যখন থিতু হয়ে আসবে, মানুষ যখন ফিরে যাবে স্বাভাবিক জীবনে, কারও মনে কি প্রশ্ন জাগবেনা মানবতার কেন এই বিপর্যয়! কৌতূহল জাগবেনা চেষ্টা করলে কি ঠেকানো যেত না এই মহামারী! হয়ত এ নিয়ে অনেক আলোচনা, সমালোচনা, গবেষণা হবে। একজন আরেকজনের দিকে আঙ্গুল তুলবে। দিনশেষে এ সত্য কোনভাবেই লুকানো যাবেনা ভাইরাসের জন্ম হয়েছিল চীন দেশে। একসাথে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়নি, বরং একজন শনাক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে তা সংক্রামিত হয়েছে। ছড়িয়ে পরেছে দেশটার বিশেষ একটা প্রদেশে। চীন ভাল করেই জানতো ভাইরাসের আচরণ। তারা কি যথেষ্ট করেছিল তা ঠেকানোর জন্যে? এখানেই আসে দেশ হিসাবে চীন ও তার শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা ও অগ্রহণযোগ্যতা।

হুবেই প্রভিন্সের উহান শহরে এই ভাইরাসের জন্ম। পাশাপাশি আমরা এও জানি এ শহরেই আছে চীনের বায়ো অস্ত্র তৈরির গবেষণাগার। অনেকের মনে স্বাভাবিক সন্দেহ জাগবে তবে কি ভাইরাস ছিল একধরণের বায়ো-টেরোরিজম, যা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ছড়িয়ে পরেছিল লোকালয়ে! এ প্রশ্নের জবাব খোদ চীনকেই দিতে হবে। কারণ চীন হতে যে সব তথ্য আমাদের জানতে দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যায় কেবল হুবেই প্রভিন্সেই ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছিল। তা যদি হয়ে থাকে, তা হবে খুবই অবাককরা ঘটনা। এই ভাইরাস সাতসমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে সুদূর উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত ভ্রমণ করতে সক্ষম হলেও কোন এক অলৌকিক মন্ত্রবলে চীনের বাকি কোন প্রভিন্স অথবা শহরে পা রাখতে সক্ষম হয়নি। এও কি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? যতদূর জানি ছোঁয়াচে এই ভাইরাস একজন হতে অন্যজনে সংক্রামিত হয়। যদি তাই হয় প্রশ্ন উঠবে, খোদ চীনের ভেতর কেউ কি ছিলনা যারা হুবেই প্রভিন্স হতে ভাইরাস নিয়ে অন্য প্রভিন্সে জার্নি করেছিল? এই ভাইরাস নেটিভ চীনা অথবা একই সময় ঐ অঞ্চলে অবস্থানকারী বিদেশীদের মাধ্যমে আমেরিকা পর্যন্ত সংক্রামিত হয়েছে। অথচ বিলিয়ন জনসংখ্যার একটা দেশে সংক্রামিত কেউ অন্য কোথাও যায়নি বিশ্বাস করা খুবই কঠিন।

উপরের প্রশ্নের একাধিক উত্তর হতে পারে:
এক; করোনা ভাইরাসের জন্ম ও এর বিস্তার সবই ছিল চীনাদের বায়ো-টেরোরিজমের অংশ। ইচ্ছা করেই তারা এর জন্ম দিয়েছিল এবং কি করে সীমিত এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখা যায় তা তাদের জানা ছিল।
দুই; যদি ভাইরাসের বিস্তার ইচ্ছাকৃত না হয়, তাহলে চীন সরকার এর ভিক্টিমদের যে সংখ্যা আমাদের দিচ্ছে তা টোটাল মিথ্যা। ইতিমধ্যে খবর বেরিয়েছে কেবল হুবেই প্রভিন্সের মৃতের সংখ্যাই ছিল ৪৮,৮০০।
তিন; প্রশ্ন উঠবে, চীন কোন জাদুবলে এত দ্রুত এই ভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম হলো। অনেকের মনে সন্দেহ জাগতে বাধ্য, চীন তৈরি হয়েই মাঠে নেমেছিল

সন্দেহ নেই করোনা ভাইরাস নির্মূলের পর বিশ্ব নতুন করে মূল্যায়ন করবে চীনকে। মূল্যায়ন করবে দেশটার শাসনব্যবস্থা, মূল্যায়ন করবে এর অর্থনৈতিক শক্তি এবং সিদ্ধান্ত নেবে গ্লোবাল অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে দেশটার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। ঘরে ঘরে যারা স্বজনদের হারিয়েছে তার প্রশ্ন তুলবে চীনাদের দায়বদ্ধতার। অনেকে চাইবে দায়ী ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে বিচারের আওতায় আনতে। এক কথায় এই ভাইরাস বদলে দেবে বিশ্ব অর্থনীতির সব হিসাব নিকাস।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন