রাজনীতি ও মাফিয়াতন্ত্র!

Submitted by WatchDog on Sunday, August 12, 2018

রাজনৈতিক মাফিয়াতন্ত্রের সাথে হাটে মাঠে ঘাটে যন্ত্রদানবের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যাওয়া লাশের মিছিলের একটা নিবিড় যোগসূত্র আছে, যা বুঝতে বৈজ্ঞানিক হওয়ার দরকার হয়না। যে বাসটা দুজন ছাত্রকে পিষ্ট করে খুনের খাতায় নাম লেখালো তার একটা অটোপসি করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বেড়াল। রাজনৈতিক ক্ষমতা ও রক্ত ওরা আসলে একে অপরের পরিপূরক। একজনকে ছাড়া অপরজন পঙ্গু, অসহায়! জাবালে নূর নামের বাসটা যে রুটে চলাচল করছে তার শুরুটা হয় ২০১৪ সালে মিরপুর ফ্লাইওভার চালুর পর। আগারগাও-আবদুল্লাহপুরের এই রুটে এটাই একমাত্র বাস কোম্পানী যাদের আছে সরকারের অনুমতি। প্রশ্ন আসবে রুটের যাত্রী সংখ্যা কি খুবই কম যার জন্য মাত্র একটা কোম্পানীকে পারমিট দেয়া হল? ২ কোটি জনসংখ্যার একটা শহরে নিশ্চয় এমনটা কল্পনা করা মুস্কিল! এবার আসুন মাফিয়াতন্ত্রের ধারক বাহকদের কাছে। খুব হাল্কা টানে খুলে ফেলুন ওদের মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা তথা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির হরেক রকম মুখোশ। এ মুখোশের আড়ালে জাবালে নূরের মালিকের যে চেহারা দেখবেন তাকে চিনতে আপনার অসূবিধা হবেনা যদিনা আপনি নেতা-নেত্রী তথা দলীয় কৃতদাস হয়ে থাকেন। মালিকের নাম নান্নু। এ নাম আপনাকে কিছুই বলবেনা। নামের পেছনে যে শক্ত খুটিটা বাসগুলো চালাচ্ছে তাকে চেনাটাই জরুরি। আর তিনি হচ্ছেন স্বঘোষিত সরকারের তথাকথিত নৌ পরিবহন মন্ত্রী জনাব শাজাহান। বাসের মালিক নান্নু 'মন্ত্রী' শাজাহানের শ্যালক। আর শ্যালকের ব্যবসার মনোপলি নিশ্চিত করার জন্যেই ঐ রুটে দ্বিতীয় কোন কোম্পানীকে বাস চালানোর অনুমতি দিচ্ছেনা শাজাহানের নির্দেশে। এবার আপনি প্রশ্ন করবেন যে দুজন মারা গেল তার সাথে মন্ত্রীর সম্পর্ক কোথায়? অনেকে বলবেন আল্লার মাল আল্লায় নিয়া গেছে, অনেকের কাছে এ নেহাত দুর্ঘটনা, গৃহপালিত দলীয় পশুদের অনেকেই আবার যাত্রী দুজনের দোষ খুঁজে মন্ত্রিকে আবে জমজমের টলটলা পানির মত পরিস্কার করতে সচেষ্ট হবেন। কেবল শাজাহান খানই নন, মন্ত্রী নামের এসব খুনী লুটেরাদের বগলের ছায়াতলেই মঞ্চস্থ হচ্ছে দুর্ঘটনা নামের এ নাটক। খুন, গুম, ক্রসফায়ার, ব্যাংকের ভল্ট নেংটা, লাখ লাখ টন কয়লা উড়ে যাওয়া...এসবই হচ্ছে রাজনৈতিক মাফিয়াতন্ত্রের আসল রূপ।আর আপনার অতি প্রিয় চেতনা হচ্ছে জাতিকে ধর্ষণ করার কনডম। এসব বুঝতে চাইলে আপনাকে নেতা-নেত্রীর দাসত্ব হতে বেরিয়ে আসতে হবে। যতদিন না আসবেন ততদিন এসব ঘটতেই থাকবে। আজা যারা মারা গেল তারা হয়ত আপনার কেউ নয়। কিন্তূ দুদিন পর আপনি নিজে অথবা আপনার আদরের সন্তান বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে থেতলে যাবেনা তার নিশ্চয়তা কোথায়?

ভালো লাগলে শেয়ার করুন