খেলারাম খেলে যাও!

Submitted by WatchDog on Monday, December 18, 2017

গোটা ব্যপারটাই হচ্ছে made in Bangladesh তৈলমর্দন উপাখ্যান। যত-বেশি মর্দন ততবেশি জাহাঁপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ, ততবেশি উন্মুক্ত সরকারী খাজাঞ্চিখানার বন্ধ দুয়ার। যে শিশু শেখ মুজিবের ছবি আকলো সে স্বেচ্ছায় ভালবাসার ভরা বর্ষায় সাতার কেটে ছবি এঁকেছিল, একেবারে ডাহা মিথ্যা। (সে হয়ত জানেই না হু দ্যা ...মুজিব ইজ!) কেউ তাকে সে পথে নামিয়েছিল, উদ্দেশ্য কারও না কারও আশীর্বাদ লাভ। যে UNO ৫ বছরের শিশুর আকা ছবি দিয়ে কার্ড বানিয়েছিল তার মর্দনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুটোই ছিল সুদূর প্রসারী..মর্দনের পিচ্ছিলতা তাকে নিয়ে যাবে আরও উঁচুতে তা যদি সময়মত জাহাঁপনার নজরে আসে। বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির মহান সভাপতি হুজুরে আলা অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজুর মর্দনে কারও কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়...আইনজীবী সমিতি হতে জেলা পার্টি সমিতি...সেখান হতে সংসদ সদস্য পদের নমিনেশন...মন্ত্রিত্ব! ব্যাপারটা এমন, গায়িকা মমতাজ পারলে আমি কেন পারবোনা! জেলা প্রশাসক সাহেব উকিল সাহেবের আগেই শোকজ করে মর্দনের দৌড়ে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করেছেন। কে জানে, হয়ত অবসরের সময় এসে গেছে...ইতিমধ্যে গ্রামে-গঞ্জে হাটাহাটি করে জাহাঁপনার করুণা লাভের চেষ্টা করছেন...কাদের পাগলার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন নমিনেশনের। সবাই নির্দিষ্ট একটা কক্ষপথে হাঁটছে...সে হাটার একটাই উদ্দেশ্য, তৈলমর্দনের মাধ্যমে OneManShow বাংলাদেশে নিজের স্থান করে নেয়া। শেখ মুজিব এখানে সৈয়দ ওয়ালিউল্লার লালসালু মাত্র। ৫ বছরের শিশু হতে শুরু করে UNO গাজী তারেক সালমান, নেতা ওবায়েদ উল্লাহ বাটপার, লুটেরা জেলা প্রশাসক, সবাই মাজারের উপ-সহকারী খাদেম! মেইন খাদেমের নাম মুখে নাই বা আনলাম! গুম আর খুনের queendom'এ এতকথা বলা ঠিক না!

ভালো লাগলে শেয়ার করুন