বনদস্যু বনাম নগরদস্যু...

Submitted by WatchDog on Wednesday, October 8, 2014

মাসে দুই লাখ ডলার কোন বেতন হতে পারেনা, শ্রেফ লুট। শেখ হাসিনার পুত্র এবং বিদেশি নাগরিক বিদেশে বসে মাকে উপদেশ দেন আর বিনিময়ে মূল্য নেন মাসে দুই লাখ ডলার। এ অবাস্তব, অলীক ও গল্পলোকের কল্পকাহিনীর মত। লতিফ সিদ্দিকীর নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ফাত্রামির যতটা ভিডিও বাজারে এসেছে তার কোথাও প্রসঙ্গটা নেই। তাই শুরু হতে এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু ভার্চুয়াল দুনিয়ায় দাবানলের মত খবরটা ছড়িয়ে পরার পর দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রচারযন্ত্রের সবাই ছিল নিশ্চুপ। ফলে বিশ্বাসের দানা অংকুরিত হয়ে ডালপালা মেলতে শুরু করেছিল। শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ এসেছে। ডঃ নুরুন্নবী নামক জনৈক ব্যাক্তি এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন জনাব সিদ্দিকী এমন কথা বলেননি। হতে পারে লতিফ সিদ্দিকী এ জাতীয় কিছু বলেননি। কিন্তু যেহেতু কথা উঠেছে জারজ সরকারের কারও উচিৎ ছিল জনাব জয়ের মাসোহারার বিষয়টা পরিস্কার করে আসলে কত পান তার একটা অংক তুলে ধরা। খুব কি কঠিন কাজ?

জনাব জয় আমারিকায় বসবাসকারী একজন চীর বেকার মানুষ। জীবনের কোন পর্যায়েই প্রফেশনাল চাকরি করেননি। বলা হয় ছাত্র জীবনে ইউনিতে ল্যাব সহযোগী হিসাবে কাজ করেছিলেন কিছুদিন, যা অনেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার অংশ হিসাবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে থাকেন।। যারা আমেরিকার শিক্ষা ব্যবস্থা তথা ছাত্রজীবনের সাথে পরিচিত তা্দের জানা আছে এ ধরণের চাকরির মানে কি। এমন একজনকে উপদেষ্টা বানিয়ে ১ ডলার বেতন দেওয়াও অন্যায় ও অপরাধ। ব্যাপারটা খুব পরিস্কার। শেখ হাসিনা বৈধ পথে অবৈধ টাকা পাচার করছেন সন্তানের কাছে। দুদিন আগে সুন্দরবনের কথিত ৬ জন বনদস্যুকে খুব কাছ হতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এখানে প্রশ্ন উঠবে কতটাকা লুটের দস্যু এরা। নিশ্চয় মাসে দেড় কোটি টাকা নয়? লুটেরাদের ভাগার বানানো হয়েছে বাংলাদেশকে। এখানে ব্যাংকের ভল্ট খুলে লুটে নিচ্ছে রাজনীতির ছত্রছায়ায়। এ দেশে মন্ত্রী, এম্পি হতে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত লুটেরা। এসব লুটের জন্য তাদের বাড়িঘর, সমাজ সংসার ফেলে সুন্দরবনে আশ্রয় নিতে হয়না। বরং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অফিসের হীমেল হাওয়ায় বসে তেনার লুটে থাকেন। দেশে ক্লোজ রেঞ্জ হতে গুলি করে হত্যার প্রয়োজন দেখা দিলে সে তালিকায় কার নাম প্রথমে থাকবে শূন্যস্থান পূরণ করার দায়িত্বটা পাঠকদের উপরই ছেড়ে দিলাম।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন