একের ভেতর চার এবং জুতার মালা সংস্কৃতি

Submitted by WatchDog on Saturday, April 5, 2014

Bangladesh

নাছির হায়দার করিম বাবুল। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এ চার নামে আমার চার জন ভাল বন্ধু আছে। ওদের কেউ কোনদিন ছাত্রলীগ নামক সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা মনে করতে পারছিনা। হয়ে থাকলেও চিকিৎসা পর্বটা নিশ্চয় গোপনে সেরে নিয়েছিল। কারণ রোগের উপসর্গ যেমন তাদের চেহারায় দেখিনি পাশাপাশি কথা ও কাজে নিজেরাও প্রমান করার চেষ্টা করেনি তারা সেলফ-প্রোক্লেইমড ছাত্রলীগের রুগী। সিফিলিস রোগটাই এরকম। এর শারীরিক এফ্যাক্টের চাইতে সামাজিক এফ্যাক্টাই বেশি। এ রোগে আক্রান্ত একজন যুবকের কাছে মা-বাবা যেমন তার কন্যাকে বিয়ে দিতে চাইবে না, তেমনি কন্যা নিজেও চাইবে না তার হবু স্বামী এ ধরনের একট তৃতীয় শ্রেনীর রোগে আক্রান্ত পুরুষ হোক। স্বামী বাছাই পর্বে যদি স্থানীয় চেয়ারম্যানের চারিত্রিক সনদের বাধ্যবাধকতা থাকতো সিফিলিস রোগের সার্টিফিকেট হতে পারত এক বাক্যে চরিত্র সম্প্রসারণের কার্যকর উপাদান। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যাবে রুশ লেখক লিও টলষ্টয় এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং তা নিয়ে খুব গর্ব করতেন। তিনি বলতেন, বিছানার সিংহ পুরুষরাই কেবল এ রোগ আক্রান্ত হয়। এ লেখাটার আসল উদ্দেশ্য আমার বন্ধু-বান্ধব অথবা রুশ লেখকদের চরিত্র উন্মোচন নয়, বরং একের ভেতর চার উপদানের নাছির হায়দার করিম বাবুলকে যথাযোগ্য সন্মান দেখানো। বলাই বাহুল্য নাম চারটা হলেও তিনি এক এবং অভিন্ন ব্যক্তি। ছাত্রলীগের সিফিলিস পর্ব সফল ভাবে পেরিয়ে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ নামক এইচআইভিতে নাম লিখিয়েছেন। লুটের বখরা সমবন্টনের সমঝোতা সভায় আওয়ামী এইচআইভিকে জুতার মালা পরিয়ে সম্বর্ধ্বনা জানিয়েছে সিফিলিস ছাত্রলীগ। আর তাতেই শুরু হয়েছে ব্যাপক হৈচৈ। জুতার মালা নাকি যোগ্য মালা নয়। তাই ঐতিহ্যের তাজমহলের বাসিন্দা এসব সিফিলিসদের তা প্রাপ্য নয়। এইচআইভি অথবা সিফিলিস কমিটিতে নাম লেখানো মানেই কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ। লুটের অর্থ। হোক তা স্থানীয় অথবা জাতীয় পর্যায়ে। কমিটির সিঁড়িতে পা রেখে ক্ষমতার হিমালয় পর্যন্ত পদানত করা যায়। আর হিমালয়ের চূড়ায় কাদের বাস তা কি আমাদের জানা নেই! ওখানে মনি-মুক্তা আর হীরা জহরতের রাজত্ব। চাইলে আকাশ কব্জা করা যায়, শয়তান ও ফেরেশতাদের বাদশা বনা যায়, প্রয়োজনে ঈশ্বরকেও চড় থাপ্পর মারা যায়। চৌথা আসমানের উপর সীমাহীন রাজত্বে স্থায়ী আসন করে নেয়ার প্রতিযোগিতাটা একটু কঠিন হবে তা নিয়ে তেনা প্যাচানোর সুযোগ নেই। অথচ সে কাজটাই করছে মিডিয়া, নাছির হায়দার করিম বাবুলদের নিয়ে তেনা প্যাচাচ্ছে। একটা জিনিস মূল্যায়ন করতে আমরা ভুল করছি, জুতার বাজার মূল্য। মালা বলতে আমরা যদি কেবল ফুলের মালা বুঝে থাকি বলার অপেক্ষা রাখেনা ফুল ক্ষণস্থায়ী এবং দিন শেষে তা ঝরে যায়। জুতার মালাকে একই দোষে দোষী সাব্যস্ত করা যাবেনা। জুতার মালা টিকে থাকে এবং তার বাজার মূল্যও ফুলের মালার চাইতে বেশি হওয়ার কথা। সে বিবেচনায় একের ভেতর চার নাছির হায়দার করিম বাবুলকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট সন্মান দেখানো হয়েছে।

আসুন দাবিটা আরও জোরালো করি। শুরু হতে পারে সোস্যাল মিডিয়া হতেই। সিফিলিস ও এইচআইভির মত মরণব্যাধিতে আক্রান্ত ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিবিদ এবং তাদের দোসর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিচারক, আইনজীবি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সহ সবাইকে এখন হতে জুতার মালা পরিয়ে যথাযোগ্য সন্মান দেখাতে হবে।

ছবিটার দিকে তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকুন। দেখবেন কেবল বাবুল নয়, হাজারো বাবুলের চেহারা চলন্ত প্যানারোমার মত ভেসে উঠবে। এই যেমন সুরঞ্জিত বাবু, আবুল হোসেন, এইচটি ইমামদের মত কলেরা, ডায়রিয়া, সিফিলিস, গনোরিয়া!

http://www.amadershomoys.com/content/2014/04/05/middle0375.htm

ভালো লাগলে শেয়ার করুন