ওদের গায়ে চেতনার ১২" বর্ম!

Submitted by WatchDog on Saturday, March 16, 2013

Bangladesh

ওরা কেউ দুর্নীতি করেনা। করতে পারেনা। কারণ ওরা আদর্শের সৈনিক। কেউ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, কেউ জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমের, কেউ আবার খোদ সৃষ্টিকর্তার। দেশ ও জাতির সেবায় ওরা নিবেদিত প্রাণ। ওরা দুর্নীতি করবে এমনটা ভাবাই এক ধরণের দুর্নীতি। শেখ মুজিবকে যারা জাতির পিতা মানে, সহস্রাব্দের সেরা সন্তান হিসাবে স্বীকৃতি দেয় তাদেরকে দুর্নীতির সাথ জড়ানো মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়া। ’ওরা জিয়ার সন্তান, ওরা দুর্নীতি করতে পারেনা’, মনে আছে সহস্রাব্দের সেরা বাক্য দুটির কথা? যে জিয়া অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করল, জাতিকে একনায়কতন্ত্রের অভিশাপ হতে মুক্ত করে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিল তার সন্তানরা দুর্নীতি করবে এমনটা ভাবা মানে রনাঙ্গণকে অস্বীকার করা, গণতন্ত্রকে কাঠগড়ায় ঠেলে দেয়া। আসলে দুর্নীতি বলতে কিছু নেই আমাদের দেশে। এর সবটাই বাংলা ভাই কায়দায় মিডিয়া ও ভার্চুয়াল দুনিয়ার কিছু সব হারানোদের সৃষ্টি। দুর্নীতি নিয়ে বিদেশীদের হাউকাউ আমাদের জাতীয় সম্পদ লুটপাটের বেদবাক্য মাত্র। মাটির ঠিক ছয় ইঞ্চি নীচে লুকানো সোনা-দানা, হীরা-জহরত, তেল-পানি আর অতিমানব-মহামানবদের কংকাল চুরির বহুজাতিক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এই দুর্নীতির মাহফিল। ইউনুস আর আবেদ নামের রক্তচোষা অপদার্থদের সামনে রেখে ওরা লুটে নিতে চায় আমাদের রত্ন ভান্ডার। আর এই কাজ ত্বরান্বিত করতে ওরা মিথ্যা অভিযোগ আনছে আদর্শ সৈনিকদের বিরুদ্ধে। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের সাথে এ অশুভ কাজে যোগ দিয়েছে জাপানের মত ব্যর্থ রাষ্ট্র। চেতনার হস্তমৈথুনকারী আবুলের দুর্নীতি খুঁজে পেতে বিশ্বব্যাংকের সময় লেগেছে ছয় মাস, আর আমাদের গোলাম হোসেনের দুধের নহবত দুদকের লেগেছে মাত্র ছয় দিন। এই ছয় দিনেই প্রমাণ হয়ে গেছে আবুল হোসেন নির্দোষ। না বললেও আমরা বুঝতে পারি দুদু মিয়ারা প্রমাণ করেছে আবুল মিয়া দুর্নীতি করতে পারেনা। চেতনার সৈনিক আবুল হোসেনের ঘাড়ে অশ্বারোহী বনে জাতির জামাতা বিশ্বব্যাংক নামক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রতিষ্ঠানের কাছে কমিশন দাবী করেছেন এমন অভিযোগ কেবল ভূয়া ও বানোয়াট-ই নয়, বরং আমাদের তীব্র, তীক্ষ্ণ আর ধারালো দেশপ্রেম নিয়ে তামাশা মাত্র।

চাইলে জাতি হিসাবে আজ আমরা গর্ব করতে পারি। সুরুঞ্জিত বাবুর ৫৬ বছর ধরে গড়ে তোলা মহামানব খ্যাতি কোন এক আজম ড্রাইভার, ইলিয়াস আলী আর সৌদি কূটনীতিকের যৌথ মিশনে মাটির সাথে মিশে যাবে এমনটা হতে দেননি দুধে ভাতা সাদা দুধু মিয়ার দল। ওরা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছে মাসিক ৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেও বাংলাদেশে ৫ কোটি টাকা নগদ জমানো যায়। আর এই নগদ দিয়ে আরও ৩০ কোটি বিনিয়োগ করা যায়। সুরু বাবুর সন্তান সৌমেন সেন এখন ফুলের পতন পবিত্র। কোন দুর্নীতি তার গায়ে স্পর্শ করেনি। আর করবেই বা কি করে, বাবুদের গায়ে যে লেপ্টে আছে চেতনার ১২ ইঞ্চি ষ্টেইন লেস স্টীলের বর্ম!

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মোজাফফর সাহেব ইহকাল হতে বিদায় নিয়েছেন। আসুন আজ আমরা বজ্র শপথ নেই, বাংলার মাটিতে মোজাফফরের মত দ্বিতীয় কোন মীরজাফরকে জন্ম নিতে দেব না। প্রয়োজনে জননীর ওম্ব হতে ভবিষৎ মোজাফরদের টেনে হিঁচড়ে বের করে আনব। তারপর তুলে দিব বিশ্ব বিচার ব্যবস্থার পথিকৃৎ, ইশ্বরের মহান সৃষ্টি, পেয়ারের আশরাফুল মুখলুকাত আমাদের বিচারকদের হাতে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন