ভারতীয় গো-মূত্র ও আমাদের নদী!
ভারতীয়দের গোমূত্র পান নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার অন্ত নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে আমরা খুবই সরব। অনেকে ছবি অথবা ভিডিও আপলোড করে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে বুঝাতে চাইছেন প্রতিবেশী দেশের হিন্দুদের চাইতে আমরা কতটা উত্তম!
ভারতীয়দের গোমূত্র পান নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার অন্ত নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে আমরা খুবই সরব। অনেকে ছবি অথবা ভিডিও আপলোড করে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করে বুঝাতে চাইছেন প্রতিবেশী দেশের হিন্দুদের চাইতে আমরা কতটা উত্তম!
১৫ টাকার সীটে থেকে ৩৮ টাকার খাবার খেয়ে ছাত্ররা লাফালাফি করার সাহস কোথায় পায় তা জানতে চেয়েছেন আমাদের স্বনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এমনটা তিনি বলতেই পারেন। কারণ এসব বলার অধিকার উনাকে আদালতই নিশ্চিত করে দিয়েছেন (রং-হেডেড)। এবার আসুন ইতিহাসের পাতা উলটে চলে যাই একই ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে, যেখানে উনার পিতা এক সময় ২ টাকার সীটে থেকে নামমাত্র মূল্যের খাবার খেয়ে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের জন্য আন্দোলন করেছিলেন।
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আমার পদচারণা শুরু সেই ১৯৯৯ সালে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনীর স্থায়ী বাসিন্দা আমি। সুবেদ ভাই খুব কাছের মানুষদের একজন। উনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী খুব ভাল শ্রোতা। মনযোগ দিয়ে শোনে আমার কথা। বিশেষ করে রাজনৈতিক বক্তব্যগুলোর উপর খুবই আগ্রহ দেখায়। ভদ্রলোকের নামটা মনে নেই।
বড়পুকুরিয়া বলতে আমারা জানি কয়লাখনি। দিনাজপুরের এই জায়গাটা মূলত এর জন্যেই বিখ্যাত। দুর্নীতির অনেক কলংকিত অধ্যায় লেখা আছে এই খনির পরতে পরতে। সবকালে সব সরকারের অধীনে যারাই ওখানে হর্তাকর্তা হয়ে কাজে গেছে্ন তারাই আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। নিশ্চিত করেছেন ১৪ গুষ্টির ১৪ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা।
রাজনৈতিক মাফিয়াতন্ত্রের সাথে হাটে মাঠে ঘাটে যন্ত্রদানবের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যাওয়া লাশের মিছিলের একটা নিবিড় যোগসূত্র আছে, যা বুঝতে বৈজ্ঞানিক হওয়ার দরকার হয়না। যে বাসটা দুজন ছাত্রকে পিষ্ট করে খুনের খাতায় নাম লেখালো তার একটা অটোপসি করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বেড়াল। রাজনৈতিক ক্ষমতা ও রক্ত ওরা আসলে একে অপরের পরিপূরক।
সালটা মনে নেই, তবে ঘটনাটা মনে আছে। থাকি নিউ ইয়র্কের কুইন্সে। আমার বড় বোন হাসনাপা আসছেন আমার এখানে। এবং সুদীর্ঘ ৩০ বছরের প্রবাস জীবনে এই প্রথম আমার পরিবারের কেউ আমার সাথে দেখা করতে আসছেন। উত্তেজনাতো ছিলই। ইমিগ্রেশ ঝামেলা শেষে JFK এয়ার্পোর্ট হতে বেরুতে বেশ দেরী হয়ে গেল।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তান ভিত্তিক পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের একটা প্রচারণা ব্যপক জনপ্রিয় হয়েছিল পূর্ব অংশে। আর তা ছিল; দেয়ালেরও কান আছে, গুজবে কান দেবেন না। ৭১ সালে পাকিস্তানি ২২ পরিবারের প্রতিনিধি সামরিক বাহিনী যে দিন তাদের সেনাদের এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছিল তাদেরও দাবি ছিল যা ঘটছে তা সত্য নয়, সবই গুজব।
আপনি ক্ষমতার রাজনীতি করেন, খুবই প্রশংসনীয় কাজ। ধরে নেব আপনি সমাজ সংসার তথা ধরণী নিয়ে খুবই সচেতন একজন মানুষ। তা না হলে রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কেন! এই আপনি যখন জীবিকার সন্ধানে বটতলার মোড় হতে বাসে চেপে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন, লাশ হয়ে যে বাড়ি ফিরবেন না তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে?
১৬ কোটি মানুষ আর চারদিকে খাল-বিল নদী-নালা নিয়েই বাংলাদেশ। ৭১'সালে দেশটার জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। আজকে ১৬ কোটি। অর্থাৎ ৪৭ বছরে তা দ্বিগুণেরও বেশি। সহজেই অনুমেয় আগামী ৪০ বছরে এই সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে ৪০ কোটির কাছাকাছি চলে যাবে। দেশটার আয়তন ও অর্থনীতির উপর যাদের সম্যক জ্ঞান আছে তাদের জন্যে এ হবে বিশাল এক ধাঁ ধাঁ।
মোবারকবাদ শেখ হাসিনাকে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার কলাকৌশলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাণঢালা অভিনন্দন। হাতে পিতার ছবি আর বুকে কন্যা বন্দনার স্তুতি ঝুলিয়ে একদল কোমার ভাঙ্গা যুবকদের প্রতিবাদও যে ক্ষমতার পথে অন্তরায় হতে পারে তা তিনি নতুন করে প্রমাণ করে দিয়েছেন। বিশ্ব স্বৈরাচার সমিতির বাকি সদস্যরা চাইলে এ হতে শিক্ষা নিতে পারেন।