অপরাধ এবং শাস্তি - মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষন

চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষককে ৭ বছর জেল

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে শিশুকণ্যাকে ধর্ষণ মামলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো: আকতার হোসেন যৌন নির্যাতনের দায়ে আসামি মাদ্রাসা শিক্ষককে এই দণ্ড দেন। চিকিৎসা খরচ হিসেবে ওই টাকা শিশুটিকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

২০০৫ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জামেয়া মিল্লিয়া আজিজিয়া কাশেমুল উলুম মাদ্রাসার নরপশু শিক্ষক আবদুস ছাত্তার ওই মাদ্রাসার নুরানী প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ওই শিক্ষকের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেছিল। ওই শিক্ষার্থীর বয়স তখন ৪ বছর ছিল । ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।

বাদী আঞ্জুমান আরা বেগম ভোরের কাগজ অফিসে এসে বলেন, এই রায়ে আমরা খুশি নই। আমার শিশু কণ্যাটিকে সেই নরপশু ধর্ষণ করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করায় আমাকে আমার পরিবারকে হয়রানি করেছে। আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি।

তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৩ জুন আসামি মৌলভী আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার চার্জ গঠন হয়। রায়ে বলা হয়েছে, যৌননিপীড়নের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেয়া হয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আকতার কবিরও জানিয়েছেন, তারা এ ব্যাপারে উচ্চতর আদালতে আপীল করবেন।

http://www.bhorerkagoj.net/content/2009/11/09/news0703.php