Islamic terroism, a new reality for Bangladesh

Submitted by WatchDog on Monday, May 18, 2009

আদর্শহীন রাজনীতি দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য আনতে বাধ্য, এর প্রমান তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশ গুলোর ঘরে ঘরে। দেশীয় রাজনীতির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষৎ সবটা জুড়ে আছে আদর্শহীনতা, যার কারণে আমাদের সমাজ রাজনীতির বহুমূখী ধারায় বিভিক্ত, এবং এই বিভক্তি নতুন প্রজন্মকে ঠেলে দিচ্ছে জঙ্গীবাদের মত চরম নৈরাজ্য এবং হতাশার দিকে।

শেখ আবদুর রহমান এবং বাংলা ভাইদের মত দুধর্ষ জঙ্গিদের ফাসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে ইসলামী মৌলবাদের ভিত্তি গুড়িয়ে দেয়া গেছে এমনটা ভেবে যারাতৃপ্তি বোধ করে থাকেন তাদের সাথে দ্বিমত পোষন করি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যত বেশী বিএনপি আওয়ামী অসততার রাজত্ব পাকাপোক্ত হবে পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষন জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকবে। ধর্মকে মস্তিস্ক ধোলাই’এর ড্রাগ হিসাবে ব্যবহারের জন্যে জামায়েত ইসলামীর মত সুগঠিত দল গুলো দেশের অলিগলিতে ফাঁদ পেতে বসে আছে, যার ব্যাপ্তি এবং বিশালতা উপলদ্বি করার মত উপলক্ষ আমরা খোলা চোখে দেখছিনা। কিন্তূ ওরা নীরবে নিঃশব্দে ছড়িয়ে যাচ্ছে তাদের বিষ। এই বিষাক্ত সাপকে লালন পালন এবং ভরন পোষনের জন্যে রয়েছে বিশেষ আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়। পেট্রো ডলার সাম্রাজ্যের অধিপতিরা মদ এবং মেয়ে মানুষের মজরায় মশগুল হয়ে দরিদ্র মিছকিন দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা রফতানীর মহা পরিকল্পনায় নিজদের ভান্ডার উজাড় করে দেন, যার সিংহভাগ যায় বাংলাদেশের জামাতই ইসলামীর মত দলগুলোর পকেটে। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড কখনই বাংলাদেশের মত দেশে ইসলামী শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হবেনা, জামাত তা ভাল করেই জানে, আর এ জন্যেই পর্দার অন্তড়ালে তাদের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠে জেএমবির মত সন্ত্রাষী দল। বাংলাদেশ হচ্ছে এ ধরনের সন্ত্রাষী কর্মকান্ডের উর্বরভূমি, এ জন্যেই এখানে বীজ বপন করা হচ্ছে ভাল ফসলের আশায়। রাষ্ট্রীয় পর্য্যায়ে ইসলামী সন্ত্রাষবাদের বাস্তবতা স্বীকার করা হয়না, যার মূলে রয়েছে জামাতই ইসলামের ভোট ফ্যাক্টর। বিএনপির অপশাষন-কুশাষনের ঘোলাজলে জামাত তথা ইসলামী সন্ত্রাষবাদের ভিত্তি কতটা শক্ত হয়েছে তা বলার এখনও সময় আসেনি। এই ভয়াবহ সাপকে এখনই টুটি চেপে না ধরলে জাতিকে হয়ত চরম মূল্য দিতে হতে পারে যেমনটা দিচ্ছে আফগানিস্থান, পাকিস্থান, নাইজেরিয়ার মত দেশগুলো।

জামাত বিরোধীতার নামে আওয়ামী লীগ এবং তার এক সদস্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো যা করছে তাতে জামাতের লাভ বৈ ক্ষতি কিছু হচ্ছেনা, এই দুই প্রতিপক্ষ (?) একে অপরের অস্থিত্বের পরিপূরক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে হতে জামাতীদের ৭১ চ্যাপ্টার সমাধান করা গেলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কতটা অন্তসারশুন্য এবং আবেদনহীন হয়ে পরবে তা আওয়ামী নেতাদের ভাল করেই জানা আছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ভারতপ্রীতি এবং ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাজনৈতিক পূজি বানিয়ে জামাতী এবং তাদের প্রেতাত্মার দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থায়ী আসন করে নিতে ব্যবহার করছে। এবং তাতে শর্ট-টার্ম লাভ খূজে পাচ্ছে বিএনপির মত চরিত্রহীন দলগুলো।

বাংলাদেশের রাজনীতির এই অধ্যায় সুই হয়ে ঢুকছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, সে দিন বেশী দূরে নয় যে দিন সাপ হয়ে তা দংশন শুরু করবে আমাদের শত বছরের সাংস্কৃতি এবং ঐতিয্যে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন