পাঁচ ঘাতকের ফাঁসি

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে বাংলাদেশে। দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার বিচার এবং রায় কার্যকর করার দাবি উচ্চারিত থেকেছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে। অবশেষে গত রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই ক্ষণটির জন্য উন্মুখ ছিল সারা দেশের মানুষ। বছরের পর বছর খুনিচক্রের সদম্ভ বিচরণ এখন শুধুই অতীত। হত্যা মামলার আরো ছয় আসামি পালিয়ে আছে বিদেশের মাটিতে। একজন মারা গেছে বছর কয়েক আগে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন দায়মুক্ত। হত্যাকারীদের বিচার করতে পেরে গর্বিত সারা দেশ।

কারাবন্দি পাঁচ খুনি মেজর (অব.) বজলুল হুদা, মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান ও লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) করা রিভিউ পিটিশন (রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন) গতকাল বুধবার সকালে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর পরই রায় কার্যকর করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। রাত ১২টার পরপরই একের পর এক ফাঁসি কার্যকর করা শুরু হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমেই মেজর (অব.) বজলুল হুদা এবং মহিউদ্দিন আহমেদকে (আর্টিলারি) ফাঁসি দেওয়া হয়।

এরপর একে একে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের (ল্যান্সার) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত ১২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর করে কারা কর্তৃপক্ষ। রাত ১টায় মৃতদেহগুলোর ময়নাতদন্ত শুরু করেন সিভিল সার্জন ডা. মুশফিকুর রহমান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমিতাভ সরকার।

কারা সূত্র জানায়, পাঁচজনকে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়ার আগে তওবা পড়ান কারা মসজিদের ইমাম। এর আগে কারা চিকিৎসক বন্দিদের শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষা করে দেখেন। এরপর বন্দির মুখে লাল সুতি কাপড়ের টুপি বা মুখোশ পরিয়ে দেওয়া হয়। হাতকড়া দিয়ে পেছন দিকে হাত বেঁধে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ফাঁসির মঞ্চে।


সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকার জেলা প্রশাসক জিল্লার রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমিতাভ সরকার, ডিএমপি কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মুশফিকুর রহমানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কারা কর্মকর্তা ঘড়ি দেখে সময় নির্ধারণের পর হাতের রুমাল ফেলে দিয়ে ফাঁসি কার্যকর করার ইঙ্গিত দেন। জল্লাদরা তখন একের পর এক লিভার টেনে দিলে পায়ের নিচে থাকা পাটাতন সরে যাওয়ায় বন্দিরা ঝুলে পড়ে। এভাবে কিছুক্ষণ দড়িতে ঝোলানোর পর জল্লাদ অন্য বন্দিদের সহায়তায় পর্যায়ক্রমে পাঁচ খুনির লাশ নামিয়ে পাশে রাখা চৌকিতে শুইয়ে দেয়। চিকিৎসকরা তখন দণ্ডপ্রাপ্তের দুই পা, দুই হাত ও ঘাড়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ময়নাতদন্তের পর সবার লাশ কফিনে ভরে অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রত্যেকের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে রয়েছে র‌্যাব ও পুলিশের পাহারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারা কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কারাবন্দি মেজর (অব.) বজলুল হুদা, মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান ও লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ গতকাল দুপুরের দিকে রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার খবর জানতে পারে। তবে কেউ ভেঙে পড়েনি। তারা আগে থেকেই এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিল। কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে উচ্চৈঃস্বরে গালিগালাজ করেছে। রায় কার্যকর করার চূড়ান্ত সময় রাত ১১টার দিকে তাদের জানানো হয়। ওই কর্মকর্তা জানান, পাঁচ খুনি স্বজন ছাড়াও গতকাল যখনই যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। নামাজ পড়েছে নিয়মিত। কেউ কেউ তাহাজ্জুদের নামাজ পর্যন্ত পড়েছে। সাধারণত ফাঁসির আগে আসামির কাছে ভালো কিছু খেতে ইচ্ছা করছে কি না জানতে চাওয়া হয়। কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগও অনেকে পায়। তবে এদের কাউকে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

কারা সূত্র রাতে জানায়, সন্ধ্যার কিছু পরই ফাঁসির মঞ্চ লাল কাপড় দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও করা হয় সেখানে। স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের জন্য কারাগারে নেওয়া হয় পাঁচটি কফিন। রাত ৮টার দিকে কারারক্ষী সুবেদার ফজলু সাবান, মোমবাতি, কর্পূর, আগরবাতি, গোলাপজল, কাফনের কাপড় নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢোকেন। রাত ৯টার দিকে কারাগারে যায় তিন জল্লাদ মনির, শাহজাহান ও বাবুল। তবে রাত ১২টার পর ফাঁসির মঞ্চে জল্লাদের দলে আরো যোগ দেয় রাজু, হাফিজ, সানোয়ার ও ফারুক। জল্লাদ শাহজাহান খুনি এরশাদ শিকদার, মুনীর এবং দুই জঙ্গি সানি ও মামুনের ফাঁসি কার্যকর করেছিল। রাত ১০টায় সিভিল সার্জন ডা. মুশফিকুর রহমান ও একজন ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে ঢোকেন।

কারা সূত্র জানায়, ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ পিটিশন) গতকাল সর্বোচ্চ আদালত খারিজ করে দেওয়ার পরপরই কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বৈঠক করে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে। আর ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই দুপুরে পাঁচ খুনির স্বজনদের টেলিফোন করে শেষবারের মতো দেখা করে আসতে বলা হয়।

প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ পাঁচ আসামির করা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গতকাল সকালে খারিজ করেন। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিচারিক কক্ষ বা এক নম্বর কক্ষে বিচারকরা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের ওপর আদেশ দেন। প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম আদেশ পড়ে শোনান। আদালত খারিজ আদেশে বলেন, আসামিপক্ষ যেসব বক্তব্য রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানিতে উপস্থাপন করেছে, সেখানে নতুন কোনো যুক্তি নেই। এসব বিষয় আপিল বিভাগ ইতিপূর্বে যে রায় দিয়েছেন, সেখানে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কাজেই আসামিদের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। রিভিউ আবেদন খারিজের পরপরই খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। কিন্তু তা নাকচ করা হয় তাৎক্ষণিক।

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য সাত আসামির মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, মেজর (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) এফ এইচ এম বি নুর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেহউদ্দিন পলাতক। এ ছাড়া লে. কর্নেল (অব.) আবদুল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে মারা গেছে বলে জানা যায়।

ঊর্ধ্বতন এক কারা কর্মকর্তা জানান, কারাবিধির ৯৮৬ ধারা অনুযায়ী প্রধান কারারক্ষক প্রতিদিন কমপক্ষে দুবার রজনীগন্ধা সেলে গিয়ে আসামিদের দেখেছেন। সিনিয়র জেল সুপার তৌহিদুল ইসলাম গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখন আর ফাঁসি কার্যকর করার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। কারাবিধি অনুযায়ী যেকোনো সময় রায় কার্যকর করা হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে।'

কারা সূত্র জানায়, ফাঁসির জন্য ব্যবহার করা হয় ইউরোপে তৈরি 'ম্যানিলা দড়ি'। দড়ির ব্যাস এক ইঞ্চি। মহড়ার সময় দেখা হয়েছে দড়িগুলো মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির চেয়ে দেড় গুণ ওজন নিতে পারবে। কারা চিকিৎসকরা জল্লাদ ও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মঞ্চে ওঠানোয় সাহায্যকারী বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাও পরীক্ষা করে দেখেন। ফাঁসি কার্যকর করার দড়ির দৈর্ঘ্য বন্দির দেহের ওজন ও দৈর্ঘ্য অনুপাতে নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত বন্দির ওজন ৯৮ পাউন্ডের নিচে হলে ছয় ফুট ছয় ইঞ্চি, ১২৬ পাউন্ডের নিচে হলে ছয় ফুট, ১৫৪ পাউন্ডের নিচে হলে পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি এবং ১৫৪ পাউন্ড বা তার ওপরে হলে পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের দড়ি ব্যবহার করা হয়।

ফাঁসি কার্যকর করার সময় কমপক্ষে ১২ জন বন্দুকধারী রক্ষী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র আরো জানায়, বন্দিদের সেল থেকে বের করার সময় ঊর্ধ্বতন এক কারা কর্মকর্তা ইংরেজি ও বাংলায় দণ্ডাদেশ পড়ে শোনান। বন্দিদের সেলেই জিজ্ঞেস করা হয় তারা বিশেষ কোনো খাবার খেতে চায় কি না।

স্বজনদের সাক্ষাৎ
রিভিউ আবেদন খারিজের পরপরই পাঁচ খুনির সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তাদের স্বজনরা। গতকাল বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারাগারের রজনীগন্ধা সেলের সামনে তাঁদের দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। পাঁচ খুনির মোট ৫৫ জন স্বজন দেখা করেন। এর মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) কারাবন্দি দুই ছেলে নাজমুল হাসান সোহেল ও মাহাবুবুল হাসান ইমুও আছে। কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস হত্যাচেষ্টা মামলায় আটক এই দুই ভাইকে গতকাল রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে এনে বাবা মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করানো হয়।

স্বজনরা জানান, কারা কর্তৃপক্ষ দুপুরে বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার জোর তাগিদ দিয়ে টেলিফোন করে। একসঙ্গে এতজনকে দেখা করার সুযোগ দেওয়ায় স্বজনরা ধারণা করেছেন, এটাই হয়তো শেষ দেখা। তবে কারা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে রাজি হয়নি।

মেজর (অব.) বজলুল হুদার বোন মাহফুজা পাশা লিজা কালের কণ্ঠকে জানান, দুপুরের পর কারা কর্তৃপক্ষ ফোন করে ভাইয়ের (বজলুল হুদা) সঙ্গে দেখা করতে আসতে বলে। তিনি বলেন, 'কয়জন আসব_জিজ্ঞেস করতেই তাগাদা দিয়ে বলা হয়, তাড়াতাড়ি আসেন।' পরে তিনি ছাড়াও দুই ভাই কামরুল হুদা, নুরুল হুদা, বোন মাহমুদা ফেরদৌসসহ পরিবারের ২৩ সদস্য কারাগারে আসেন। দুই ভাগে তাঁরা দেখা করেছেন।

মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদের (ল্যান্সার) সঙ্গে দেখা করতে আসেন তার মা নূরজাহান বেগম, স্ত্রী হোসনে আরা মহিউদ্দিন, ভাই হাই তালুকদারসহ ১৮ জন। নূরজাহান অসুস্থ থাকায় তাঁকে হুইল চেয়ারে করে আনা হয়। লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমানের সঙ্গে তার মা মাহমুদা রহমান, বোন ইয়াসমিন রহমানসহ চারজন দেখা করেন।

লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) স্ত্রী শাহিদা মহিউদ্দিন, মেয়ে রুমানা আফরোজ, বোন ফাতেমা বেগম, এক নাতনিসহ পাঁচজন এবং লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের স্ত্রী মাসোয়ারা রশিদ, মেয়ে শেহনাজ রশিদ দেখা করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহিউদ্দিন আহমেদের (আর্টিলারি) স্ত্রী শাহিদা মহিউদ্দিন কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার স্বামী ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করতে দেখেছেন। কারা কর্তৃপক্ষ সকালে আমাকে আবার আসতে বলেছে। আমার দুই সন্তান কারাগারে, তাই লাশ গ্রহণ করারও কেউ নেই।'

কারাগারের সামনে মানুষের ভিড় : রাতে ফাঁসি কার্যকর হতে পারে আঁচ করতে পেরে কারাগারের সামনে বিকেল থেকে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জড়ো হতে শুরু করেন সংবাদকর্মী এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হলেও একসময় কারা ফটকের সামনে পর্যন্ত চলে যায় মানুষ।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা একসময় মিছিল শুরু করেন। তবে নিরাপত্তাকর্মীদের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়। রাতে কারাগারের বাইরে পাঁচ খুনির স্বজনদের কাউকে দেখা যায়নি। জানা গেছে, নিরাপত্তার কারণেই তাদের কারা ফটকের সামনে আসতে নিষেধ করা হয়।

সূত্র: কালের কন্ঠ
পারভেজ খান ও মাসুদুল আলম তুষার
কালের কন্ঠ রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১০