জাহলাম ইস্যু এখন দেশের হাই ভোল্টেজ ইস্যু। অনলাইন অফলাইন মিডিয়ার সবকটায় রাজত্ব করছে এই কাহিনী। ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলার মূল আসামীকে সনাক্ত করতে দুদক নাকি ভুল করেছিল। আর তাদের এই ভুলের খেসারত দিতে ৩ বছর ধরে জেল খেটেছে নিরপরাধ এক পাটকল শ্রমিক। প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে জাহলাম কাহিনী।
আমেরিকার ব্যপার-স্যাপার সবসময়ই একটু আলাদা যা বুঝতে ও হজম করতে একটু সময় লা্গে। দেশটায় বাস না করলে তার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বুঝা একটু কষ্টকর। বিশেষকরে বাংলাদেশের মত মাসলকন্ট্রোলড রাজনীতির কনটেক্সটে। এই যেমন দেশটার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রেসিডেন্টের সাথে কংগ্রেসের লড়াই।
অ্যালেক্সান্ডার কিরিলভ ওরফে অ্যালেক্স লেজলির দেশ রাশিয়া এবং সে একজন ফ্রি সেক্স প্রবক্তা। তার ভাষ্য মানলে এ পৃথিবী হবে সীমাহীন, বাধাহীন সেক্স-ভূমি। এ নিয়ে তার প্রচারণার শেষ নেই। ঘুরে বেড়ান দেশ হতে দেশান্তরে। সাথে থাকে একদল ঝকঝকে পূর্ব ইউরোপিয়ান তরুণী।
পারফেক্ট না হলেও অংকে একেবারে কাঁচা ছিলাম না। বিশেষ করে প্রাইমারী ও স্কুল লেভেলে। তো একটা অংক মাঝে মধ্যে মগজে চেপে বসে। মুখে মুখে সমাধানের চেষ্টা করেও কামিয়াব হতে পারিনি। ক্যালকুলেটরের প্রয়োজন হয় বিধায় এ নিয়ে বিশেষ ঘাটাঘাটি করিনি। এত সময় কোথায়!
দেশে তখনো শেখ খেলাফত কায়েম হয়নি। জাতি হিসাবে আমরা বিভক্ত হইনি। ছাত্রলীগের বরকন্দাজ বাহিনীও পথেঘাটে ঠেক দেয়া শুরু করেনি। ঘর হতে মা-বোনদের উঠিয়ে নেয়ার সংস্কৃতি তখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। মানুষ মানুষ হয়েই বাস করার চেষ্টা করতো। তেমনি এক সময়ের কথা।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করেছে! আমরা যারা কিছুটা হলেও দেশীয় রাজনীতির ধারাপাত বুঝি তাদের জন্যে এটা কোন খবর ছিলনা। আ্মাদের জানা ছিল আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার জন্যে এবারের নির্বাচনে হারার কোন অপশন ছিলনা, বরং জেতায় ছিল বাধ্যবাধকতা। জিততে বাধ্যছিল দলটি।
নতুন সহস্রাব্দির এ অংশে এসে নিজকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এই প্রথম মনে হচ্ছে বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে আমি ধন্য। জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হওয়ার যা কিছু ভাল তা এ মুহূর্তে প্রাণভরে উপভোগ করছি। একটা সময় ছিল যখন কিছু কিছু তথ্য জানতে আমাদের ইতিহাসের পাতা ঘাটতে হত।
একজন একটা প্রশ্ন রেখেছেন, কেবল আওয়ামী লুটপাটের বিরুদ্ধে কেন আমি লিখছি, বিএনপি-জামাত জোট কি লুটপাট করেনি? খুবই বৈধ ও যৌক্তিক প্রশ্ন। এ ব্যপারে আমার উত্তরও পানির মত পরিষ্কার। মাঘ মাসে জ্যৈষ্ঠ মাসের গান কেবল গানই, বাস্তবতার প্রতিকৃতি নয়!
স্থানীয় একটা চ্যানেলে ঘণ্টা-খানেক ধরে ডকুমেন্টারিটা দেখলাম। এক নিঃশ্বাসে দেখার মত একটা উপস্থাপনা। থাইল্যান্ডের ১২ জন স্কুল বালক ও তাদের ফুটবল কোচকে গুহা হতে উদ্ধারের কাহিনী। জানা না থাকলে মনে হবে এডভেঞ্চার অথবা থ্রিলার জাতিয় হলিউডের নতুন কোন চমক। বাস্তব এ কাহিনী গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল।
অদ্ভুত সুন্দর একটা সকাল। চারদিকে বসন্তের মৌ মৌ গন্ধ। জানালার বাইরে উদ্দাম উচ্ছল ক্যারিবিয়ান সাগর। এর বিশাল বিশাল ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পরছে অনেকটা লজ্জাবতী বধূর মত। দু'দিন হল এখানটায় এসেছি। বসন্তের এ সময়টায় পর্যটকদের ভিড়ে গিজ গিজ করে শহরের পথঘাট। কার্তাখেনা দ্যা ইন্ডিয়াস।
