খেলারাম খেলে যায়...
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদদের অতীত অথবা বর্তমান পরিণতি নিয়ে অনেকের মত আমারও কোন উথাল পাথাল নেই। কারণ আমি কনভিন্সড দেশটার রাজনীতির মাঠে যারা আছেন তাদের শতকরা ২০০ ভাগের একটাই উদ্দেশ্য, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাওয়া।
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদদের অতীত অথবা বর্তমান পরিণতি নিয়ে অনেকের মত আমারও কোন উথাল পাথাল নেই। কারণ আমি কনভিন্সড দেশটার রাজনীতির মাঠে যারা আছেন তাদের শতকরা ২০০ ভাগের একটাই উদ্দেশ্য, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাওয়া।
করোনাভাইরাস আতংক ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে আমেরিকান জীবন। থমকে যাচ্ছে লাখো মানুষের প্রাণের স্পন্দন। ঘর হতে বের হওয়ার আগে দু'বার চিন্তা করছে অনেকে। অনিশ্চয়তার ছোঁয়া লাগছে প্রতিদিনের জীবনে। সবচাইতে বিপদজনক হচ্ছে মানুষের জানা নেই কোথা হতে শুরু করতে হবে এর প্রতিরোধ।
অনিশ্চয়তা হতে জন্ম নিচ্ছে ভয়। এবং এই ভয় গ্রাস করে নিচ্ছে গোটা সমাজ। নিরাপত্তার জন্যে স্কুল কলেজ বন্ধ। সব ধরণের স্পোর্টিং ইভেন্টে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কনসার্ট হল গুলোতে পিনপতন নীরবতা। নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এমন একটা দিন পৃথিবীর এ প্রান্তে আসতে পারে স্বপ্নেও কেউ কল্পনা করেনি। জানুয়ারীতে করোনাভাইরাস ছিল চীন দেশের গল্প। দূরে অনেক দূরে এশিয়ার এক কোনায় চীনের এক প্রদেশে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল এই ঘাতক। কেউ ভাবতেও পারেনি সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে একদিন এই ভাইরাস ১৬৫ দেশে পৌঁছতে পারেব।
প্রবাসীদের নিয়ে দেশে আতংক বাড়ছে। অনেক জায়গায় তাদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ডেস্পারেট সময়ের ডেস্পারেট সিদ্ধান্ত! করোনা মহামারী ঠেকাতে সরকারের উপর বিশ্বাস রাখার কোন কারণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। একদিক সরকারী প্রোপাগান্ডা মেশিনের বলদ ওকা চৌধুরী, অন্যদিকে মুফতি ইব্রাহিমের মত ধর্ম ব্যবসায়ীরাই ডমিনেট করছে করোনার মাঠ।
আদলত শাস্তি দিলে মুক্তিও দেয় আদালত, এমনটাই জানতাম এতদিন। মুফতি ইব্রাহিম টাইপের ওয়াজের মাধ্যমে জাতিকে এতদিন তাই নসিহত করে আসছিল আওয়ামী প্রোপাগান্ডা মেশিন। হঠাৎ করে ভোজবাজির মত সব কেমন উলটে গেল। আইন আদালত আর শাস্তির দোহাই খড়কুটার মত ভেসে গেল শেখ হাসিনার এক ঘোষণায়।
আজকের রাতটা আর দশটা শুক্রবার রাতের মত নয়। বিষণ্ণতার রাজত্ব চারদিকে। রাস্তাঘাট, দোকানপাট, খেলার মাঠ, পার্ক, কোথাও মানুষের চিহ্ন মাত্র নেই। শহরে কার্ফু জারী করেনি, কিন্তু তাতে কি! সচেতনাই মানুষকে ঘরে আটকে রাখছে। ঘরের অবস্থাও সুবিধার নয়। টিভির নিউজ চ্যানেলগুলো দেখার মত অবস্থা নেই।
সব মহামারিই এক সময় বিদায় নেয়, এবং মানুষও ফিরে যায় তার স্বাভাবিক জীবনে। এমনটা হয়ে আসছে হাজার বছর ধরে। মানব সভ্যতার ধাপে ধাপে মহামারি এসেছিল এবং সামনে আরও আসবে। এ ধরণের মহামারী উলট পালট করে দেয় মানব সভ্যতা। উপড়ে ফেলে মানচিত্র। লাখো মানুষ মারা যাওয়ার পাশাপাশি আরও লাখ লাখ আশ্রয়ের সন্ধানে ডিসপ্লেসড হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৮৫ লাখ ভারতীয় বাস করে থাকে, যার অধিকাংশই হিন্দু। উপসাগরীয় অঞ্চলের জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্ক খুবই মধুর। এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ছয়টি দেশ হতে ভারতীয়রা বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজ দেশে পাঠায়।
সূর্য অনেকটাই হেলে পরেছে ততক্ষণে। ভাটা লাগতে শুরু করেছে উত্তপ্ত বাতাসে । বাসা হতে ট্রেইলটার দূরত্ব ১ মাইলের মত। পাঁচ মিনিটের ড্রাইভ। অনেকবার প্লান করেছি ট্রেইলটা ধরে উপরে উঠবো, পাহাড়ের ওপারে কি আছে দেখতে যাবো। কিন্তু সময় করে যাওয়া হয়নি। সময়টা এখন করোনাময়।