পেচ্ছাবের PSI

Submitted by WatchDog on Thursday, December 26, 2013

পাঠক,

নীচের খবরটা পড়ার জন্য আপনি কি প্রস্তুত। আমি বলবো, না, আপনি প্রস্তুত নন। পরখ করে নিন আপনার পেচ্ছাবের PSI। প্রেশার যদি point of no return এ চলে যায় তাহলে ধরে নেবেন এ যাত্রায় আপনি প্রস্তুত। কষ্ট করে ধৈর্য্য ধরুন। খবরটা পড়ার সাথে আপনার পেচ্ছাবের একটা সম্পর্ক আছে। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে এবার পড়তে শুরু করুন। সহসাই বাথরুমে দৌড় দেবেন না। পড়া শেষ হলে পেচ্ছাবের প্রেসার হয়ত অর্গায়জম পর্যায়ে পৌছে যাবে। এবার চলুন মুতখানার দিকে পা বাড়াই। ছেলে হোন আর মেয়ে হোন এ যাত্রায় কমোডের উপর বসার চেষ্টা করবেন না। দাড়িয়েই কাজটা সারতে হবে। মানষিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে এবার কমোডের দিকে তাকান। কম্পমান পানিতে কল্পনা করুন খবরের নায়ক আসলামুলের চেহারা। চেহারার সাথে মুখটাকেও খুজে পাবেন কোথাও। এবার শ্বাস বন্ধ করুন এবং প্যান্ট/লুঙ্গি/শাড়ি/পেটিকোট উঁচু করে মুতে দিন ঐ মুখটায়। শেষ ফোটা গুলো অন্য একটা মুখের জন্য উঠিয়ে রাখুন। জানি কষ্ট হবে। কিন্তু এ ছাড়া আমাদের কিইবা করার আছে। এবার ভাল করে তাকান আপনার হলুদ রঙের পেচ্ছাদের দিকে। শাড়ি পরিহিত একটা মুখ ভেসে উঠলে ধরে নেবেন আপনি সঠিক জায়গায় সঠিক কাজটি করছেন। এবার বাকিটা ঢেলে দিন ঐ মুখটায়। ধন্য আপনার জীবন। পঞ্চাশ একশ বছর পর আপনি আপনার চিল্ড্রেন, গ্রান্ড চিলড্রেন, গ্রেট গ্রেট চিলড্রেনদের বলতে পারবেন সেদিন আমিও ছিলাম। হায়েনাদের মুখে মুতে দিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম।


সম্পদ ও শিক্ষা দুটোই বেড়েছে আসলামুলের

Corruption - Bangladeshi style

ক্ষমতার পাঁচ বছরে সাংসদ মো. আসলামুল হকের ঘোষিত সম্পত্তিই (জমি) বেড়েছে ৩৪ গুণের বেশি। একই সঙ্গে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বেড়েছে চার ধাপ। নির্বাচন কমিশনে ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় এই সাংসদের দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য মিলেছে। তিনি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী মাকসুদা হক ৪ একর ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিক। এসব জমির দাম দেখিয়েছেন ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। আর দশম সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১ ডিসেম্বর জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, আসলামুল হক ও তাঁর স্ত্রী এখন ১৪৫ দশমিক ৬৭ একর (১৪ হাজার ৫৬৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ) জমির মালিক। জমির দাম উল্লেখ করা হয়েছে এক কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা।

দুই হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচ বছরে স্বামী-স্ত্রীর জমি বেড়েছে ১৪০ একরের বেশি। আর বাড়তি এই জমির মূল্য দেখিয়েছেন এক কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা অবিশ্বাস্য। পাঁচ বছরে আসলামুল হকের শুধু সম্পদই বাড়েনি, বেড়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতাও। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ছিলেন অষ্টম শ্রেণী পাস। আর এখন তিনি বিবিএতে (স্নাতক ব্যবসায় প্রশাসন) অধ্যয়নরত বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে হলফনামার বাইরেও আসলামুল হকের জমি থাকার তথ্য মিলেছে। এমন ৭৬ বিঘা (২৫ একরের অধিক) জমি তিনি গত বছর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিক্রিও করেছেন। এর মধ্যে তাঁর মালিকানাধীন মায়িশা গ্রুপের নামে থাকা সাভারে (মহাসড়কের পাশে) ৫৭ বিঘা, আমিনবাজারে (মহাসড়কের পাশে) ১৪ বিঘা, মিরপুর এশিয়ান হাইওয়ের পাশে ৭১ কাঠা ও দারুস সালাম থানার গৈদারটেক এলাকায় ৩১ কাঠা জমি গত বছর বিক্রি করেন। জানতে চাইলে মায়িশা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোর কাছে এসব জমি বিক্রির কথা স্বীকার করেন। কত টাকায় এসব জমি বিক্রি করা হয়েছে, তা তিনি বলতে রাজি হননি। এ টাকা কী কাজে লাগানো হয়েছে, তা মায়িশা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলামুল হক জানেন বলে আনোয়ার হোসেন জানান।

আসলামুল হক গত বছর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজ এলাকায় জমি দখলসংক্রান্ত এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন। তখন আদালতে তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন, ‘পারিবারিকভাবে তার পাঁচ-ছয় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।’ (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৭ মে, ২০১২)। শুধু তা-ই নয়, মায়িশা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আসলামুল হক রাজধানীর গাবতলী থেকে আজিমপুরে উড়ালসড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করে গত বছরের জুনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাঁকে কাজ দেওয়া হলে এতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং এই সরকারের আমলেই কাজ সম্পন্ন করবেন বলে উল্লেখ করেন।

জীবনে প্রথম সাংসদ হয়েই এত সম্পদের মালিক হলেন? জানতে চাইলে আসলামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ফকিরনির বাচ্চা নই, আমার বাবা ও নানা জমিদার। তাঁদের সম্পদ আছে। ধীরে ধীরে ব্যবসা করে এ অবস্থায় আসছি।’ তাহলে হলফনামায় কেন সব সম্পদ উল্লেখ করেননি—এ প্রশ্নের জবাবে আসলামুল হক বলেন, ‘হলফনামায় কী উল্লেখ করেছি, কী করিনি, তা আপনার দেখার দায়িত্ব নয়। তা দেখবে নির্বাচন কমিশন ও এনবিআর।’ ঘোষিত-অঘোষিত এসব সম্পদের বাইরেও আসলামুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। তিনি এবার দশম সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের জমি দখল: সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের সীমানা দেয়ালের দক্ষিণ ও কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিম পাশে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার ২৩ একর ২৩ শতাংশ জমি দখল করেছেন আসলামুল হক। নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই জমি ২০০০ সালের ২৩ মার্চ সরকারের কাছ থেকে ৯৯ বছরের জন্য ইজারা (লিজ) নেয় মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থা।

মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, ২০১১ সালের ৫ মে সাংসদ আসলাম দলবল নিয়ে জমিটি দখল করে নেন। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়টি ভেঙে দেন। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থার মহাসচিব হাবিবুর রহমান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মশিউর রহমান ও স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দখলের সময় তাঁদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অশ্লীল গালাগাল দেন সাংসদ আসলাম। একপর্যায়ে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘সাংসদ আমাকে কলার ধরে টেনে-হিঁচড়ে দারুস সালাম থানায় নিয়ে যান। আমাদের মহাসচিবকেও দাগি আসামির মতো পুলিশে তুলে দেন।’ সংস্থার মহাসচিব হাবিবুর রহমান বলেন, সাংসদ ওই দিন মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেও ক্ষান্ত হননি, তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। মামলার বাদী হন সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী ইসলাম হোসেন। প্রথম আলোর কাছে সাংসদ আসলামুল হক ওই জমি দখলের কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন। তাঁর দাবি, ওই জমি কবরস্থানের। তিনি তা উদ্ধার করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিন দিয়ে ঘেরা দেওয়া জমিটির সামনে দুটি সাইনবোর্ড ঝুলছে। একটিতে লেখা ‘সরকারি মডেল স্কুল ও কলেজ’, অপরটিতে লেখা ‘দারুস সালাম থানা কমপ্লেক্স’।

প্রবাসীর জমি দখল: আসলামুল হক মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসী আমিনুল ইসলামের ৩৭ শতাংশ জমি দখল করেছেন বলেও অভিযোগ আছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই জমির প্রবেশমুখে একটি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। তাতে লেখা, ‘এই জমির মালিক মো. আসলামুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মায়িশা গ্রুপ’ সাংসদ আসলামুলের দাবি, তিনি সেখানে ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ জমি প্রবাসী আমিনুল ইসলামের ভাগ্নির কাছ থেকে কিনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আমিনুল ইসলাম টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর জমির পাশে ভাগ্নির জমি। ভাগ্নির জমি কিনে পাশে তাঁর ৩৭ শতাংশ জমিও দখল করে নিয়েছেন সাংসদ। এ নিয়ে আসলামের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে চারটি মামলা করা হয়েছে।

দখল করা জমিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র: মোহাম্মদপুরের বছিলা সেতু পার হয়ে নদীর তীর ঘেঁষে ওয়াসপুর ও সাভার থানার বিশাল এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছেন সাংসদ আসলাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎকেন্দ্র করার জন্য জমির মালিকদের না জানিয়ে হঠাৎ নিচু জমি ভরাট এবং সীমানাপ্রচীর নির্মাণ করেন সাংসদ। ওয়াসপুর জামে মসজিদ কমিটির সদস্য মো. সেলিম অভিযোগ করেন, একই স্থানে ওয়াসপুরের মসজিদের প্রায় দেড় একর জমি ছিল। চার কোটি টাকা দাম ঠিক করে ওই জমি কিনে নেন আসলামুল হক। কিন্তু পরে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে আর কোনো টাকা দেননি। ওয়াসপুরের নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি জমি বিক্রি করতে চাননি। সাংসদ ছয় কোটি টাকা মূল্যের ২০৮ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে নিয়েছেন। কোনো টাকা দেননি। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসলামুল হক দাবি করেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তিনি এসব জমি কিনে নিয়েছেন।

ঈদগাহ মাঠ দখল, বিক্ষোভ: ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সাংসদ আসলামের লোকজন মিরপুরে চিড়িয়াখানা সড়কের পাশে মসজিদুল আকবর ঈদগাহ ময়দান দখল করে নেন। অবশ্য পরে এলাকাবাসী ও মুসল্লিদের বিক্ষোভের মুখে সাংসদ ঈদগাহ মাঠ ছেড়ে দেন। আসলামুল হক দাবি করেন, দখল নয়, স্থানীয় যুবকদের দাবির মুখে তিনি সেখানে ক্রিকেট একাডেমি করতে চেয়েছিলেন।

দাপট: ২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকা ওয়াসা ও জেলা প্রশাসন কল্যাণপুরে খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে সাংসদ আসলামুল হক গিয়ে বাধা দেন। তাঁর বাধার মুখে উচ্ছেদ না করেই ফিরে আসেন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট। এ নিয়ে পরদিন প্রথম আলোয় সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে ২ ডিসেম্বর সাংসদ নিজেই কল্যাণপুর খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।

মামলা ও জিডি: সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রতারণার অভিযোগে ১৯৯৬ সালে আসলামুল হকের বিরুদ্ধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, সাভার, পল্টন ও মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পৃথক পাঁচটি মামলা হয়। একই বছর মিরপুর থানায় তিনটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হয় তাঁর বিরুদ্ধে। অবশ্য আসলামুল হক ২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা ছিল, তিনটিতেই আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। অবশ্য ওই হলফনামায় তিনি দুটি মামলার কথা গোপন করেছিলেন। তবে, ২০১৩ সালের হলফনামায় পাঁচটি মামলার কথাই উল্লেখ করেন। এবং সবগুলোতে খালাস পান বলে লিখেছেন।

কেরানীগঞ্জ থেকে গাবতলী: আসলামের বাড়ি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া গ্রামে। গত নভেম্বরে সেখানে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আসলামুল হকের বাবা এনামুল হক মুন্সি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন। স্বাধীনতার পর তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এরপর তাঁরা সপরিবারে রাজধানীর গাবতলীতে তাঁর নানার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। এখানেই বড় হন আসলামুল হক। স্থানীয় লোকজন জানান, আসলামুল হক বিগত শতাব্দীর আশির দশকের শুরুর দিকে শাহ আলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আসলামুল হক আশির দশকে কর্মজীবনের শুরুতে যাত্রীবাসের কাঠামো (বডি) তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি এলাকায় জমি-বেচাকেনায় মধ্যস্থতার কারবারে জড়িত হন। পরে তিনি মায়িশা প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট নামে আবাসন কোম্পানি করেন। এখন তা হয়েছে মায়িশা গ্রুপ। কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মায়িশা গ্রুপের এখন মোট প্রতিষ্ঠান ১১টি। আসলামুল হক এই গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং তাঁর স্ত্রী মাকসুদা হক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

হলফনামায় হোঁচট: সাংসদ হিসেবে আসলামুল হকের ব্যক্তিগত ও মায়িশা গ্রুপের ওয়েবসাইটে তাঁর যে ব্যবসায়িক বৃত্তান্ত (প্রোফাইল) উল্লেখ করা হয়েছে, সেটার সঙ্গে হলফনামায় উল্লেখ করা আয়-ব্যয় ও ব্যাংক হিসাবের স্থিতি মেলাতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে স্বামী-স্ত্রীর ব্যবসা থেকে বার্ষিক মোট আয় চার লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে আসলামের দুই লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ ও তাঁর স্ত্রীর দুই লাখ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা। আর, ২০১৩ সালে এসে ব্যবসা থেকে দুজনের মোট বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৭ টাকা (স্বামীর নয় লাখ ৫২ হাজার ৩০০ এবং স্ত্রীর ছয় লাখ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা)। ২০০৮ সালে আসলামুল হকের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৬৫ হাজার ৭০০ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর নামে ২০ হাজার ৫০০ টাকা। দুজনের নামে ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ও ১২০ ভরি সোনা ছিল। আর এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আসলামের নামে ২৪ হাজার ৪৩ টাকা, আর স্ত্রীর নামে ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৬ টাকা জমা আছে। দুজনের নামে এখন শেয়ার আছে ৯৪ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকার। বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে দুজনের মোট বিনিয়োগ আছে ৬৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এখন দুজনের নামে সোনা আছে ৮৩ ভরি।

পাঁচ বছর আগে আসলামের হাতে নগদ টাকা ছিল দুই লাখ ১৯ হাজার ৮০০ এবং স্ত্রীর নামে এক লাখ নয় হাজার ৫০০ টাকা। আর এখন দুই কোটি ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৯ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর আছে কাছে ৫৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এ ছাড়া বর্তমানে আসলামুল হকের স্ত্রীর নামে এক কোটি ৪৩ লাখ টাকার বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট আছে বলে উল্লেখ করেছেন।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/108514/

ভালো লাগলে শেয়ার করুন