১/১১'র পদধ্বনি...হাতে তৈলাক্ত বাঁশ ও নারকেলের রশি!

Submitted by WatchDog on Tuesday, December 11, 2012

Logi Boitha

দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে নতুন কোন লেখার প্রয়োজন আছে বলে হয়না। পেশী শক্তিই হাল ধরতে যাচ্ছে আমাদের ভবিষৎ যাত্রা। গণতান্ত্রিক যাত্রার চালিকা শক্তিও এখন উন্মাদনার নিয়ন্ত্রণে। সামনের নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় যাবে, কোন পরিবারের অধীশ্বর সরকার প্রধান হবেন তার কক্ষপথ আঁকবে সন্ত্রাস, খুন, অস্ত্র, ক্যাডার, চাপাতি, কিরিচ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের মত রাজনীতির বাহ্য, লেহ্য, দূষিত আর দুর্গন্ধ যুক্ত বাই-প্রোডাক্ট সমূহ। আমরা সাধারণ পাবলিকরা বিশ্বজিৎ হয়ে নেতা-নেত্রীদের চরণতলে রক্ত নিবেদন করে যাবো, আর দিনান্তে ক্লান্তি, শ্রান্তি ধুয়ে মুছে ফেলতে রাজাধিরাজ গন নাইতে নামবেন সে রক্ত সরোবরে। যারপর নাই কৃতার্থ হব আমরা। কৃতজ্ঞতার নিশান উড়িয়ে চরণে পূজা দিয়ে ধন্য হব। খারাপ বলছি কি কিছু? খুব কি অন্যায় করছি? বিচার করার সামান্যতম সাহস অবশিষ্ট থাকলে হে স্বদেশি আমাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করান। চ্যালেঞ্জ করছি আপনাদের সে সাহস নেই। আন্ধা, কালা, বোবা আর পঙ্গু জাতি বাঁচে না, টিকে থাকে। আমরাও বেচে নেই, টিকে আছি। টিকে আছি একদল চোর, ডাকাত, খুনি আর লুটেরাদের করুণার পাত্র হয়ে।

পৈত্রিক সম্পত্তি বাংলাদেশের মালিকানা নিয়ে দুই পরিবারের বস্তির লড়াইয়ে আমি পূজার ঢালি হব, গতরের প্রতি ইঞ্চিতে তক্তা পেটা হব, চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হব, পাশাপাশি কথিত গণতন্ত্রের সেবক হয়ে দুই মহিলার নাম উচ্চারণের আগে নবীদের কায়দায় মাননীয়া বলতে বাধ্য থাকবো, দুঃখিত সুপ্রিয় স্বদেশবাসী, এমন গণতন্ত্রের স্থান আমার বিচারে গণশৌচাগারে। আমি আপনাদের মতই অক্ষম একজন এবং আমার এই অক্ষমতা আর কিছু না পারুক নিয়মিত নিয়ে যায় সে শৌচাগারে এবং সহায়তা করে মলমূত্র ত্যাগে। আমার মত একজন হয়ে থাকলে আপনিও যোগ দিন এ মিছিলে। অ্যামোনিয়ার কুৎসিত গন্ধে ভারী করে তুলুন দেশের আকাশ বাতাস। আমার জন্যে রাস্তায় নিরাপদে হাটাঁর নাম গণতন্ত্র। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, আইনের শাসন আর স্বাভাবিক জন্ম-মৃত্যুর নিশ্চয়তাই আমার গণতন্ত্র। বাকি সব ভাওতাবাজি। আপনার ভাবনা যদি খাপ খায় আমার সাথে আপনিও যোগ দিন । হীরক রাজ্যের একদল অক্ষম বাসিন্দা আমরা, আর কিছু না পারি শয়নকক্ষে বসে আসুন কিছু স্বপ্ন দেখার সাহস করি।

আমিও স্বপ্ন দেখি। দরজা জানালা ভাল করে আটকে দিয়ে স্বপ্ন দেখি। প্রায়ই দেখি আবাবিল পাখির মত ড্রোনে চড়ে ওরা আসছে। নীরবে নিঃশব্দে ঢাকার রাজপথে নামছে। ঝড়ো গতিতে ঢুকে পরছে অলি গলিতে। বিশ্বজিতের খুনিদের একত্রিত করেছে চকবাজারের কোন এক গলিতে এবং ছেড়ে দিচ্ছে একদল হিংস্র হায়েনার হাতে। উন্মত্ত পশুর দল একে একে হাত, পা, মাথা ও হৎপিণ্ড খুলে নিচ্ছে শরীর হতে এবং পৈশাচিক উল্লাসে তা ভক্ষণ করছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে দেখা ’হরে কৃষ্ণা হরে রাম’ কাল্টের মত কীর্তন করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে আরেক দল। ওরা যাচ্ছে প্রাসাদের দিকে। হাতে তৈলাক্ত বাঁশ আর নারকেলের ঝুনা হতে তৈরী শক্ত রশি।

এমনটা যদি বাস্তবে ঘটে খুব কি চিন্তিত হব আমরা? কার জন্যে চিন্তা,শেখ হাসিনার জন্যে,খালেদা জিয়ার জন্যে? কিসের চিন্তা, গণতন্ত্রের জন্যে? যথেষ্ট কি হয়নি পারিবারিক যাঁতাকলের এসব রসনাতন্ত্র? নতুন একটা ১/১১’র পথ উনারা নিজেরাই নিজেদের জন্যে তৈরী করছেন। সে পিচ্ছিল পথে হোচট খেলে আনন্দ না হোক, আসুন অন্তত পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে স্বাগত জানানোর সাহস দেখাই।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন