খুনের সমালোচনা খুনিদের মুখে শোভা পায়না, বরং অপেক্ষা করুন...

Submitted by WatchDog on Saturday, November 30, 2013

Awami League and Hasina

হরতাল অবরোধে বিপর্যস্ত হলেও দেশে উৎসবের কমতি নেই। একদিকে মনোনয়নের উৎসব, অন্যদিকে লাশ ফেলার মহোৎসব। উৎসব আমেজে লাশ নিয়ে আহাজারিরও অভাব হচ্ছেনা। যে দল প্রকাশ্য রাজপথে জীবন্ত মানুষকে লাশ বানিয়ে তার উপর নৃত্য করতে পারে লাশের জন্য তাদের শোক আমাদেরকে রাজনৈতিক বেশ্যাবৃত্তির কথাই মনে করিয়ে দেয়। আমরা জানি খুনের কোন দল নেই, জাত নেই, ধর্ম নেই...খুন খুনই, তা যে দলেরই হোক। কিন্তু আমাদের 'মহান' রাজনীতিবিদগণ এ ঐতিহাসিক সত্যকে নতুন করে লেখার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের তৈরী নির্বাচনী রোডম্যাপে বিএনপি হাটছে এবং লাশ ফেলছে। দৃশ্যটা কি খুব নতুন আওয়ামী লীগের জন্য? তাহলে আর লাশের জন্য এত মায়া কেন? তারা যাদের হত্যা করেছিল তাদের গা হতে কি রক্ত বেরোয়নি? জ্বলে পুড়ে কয়লা হয়নি? তাদের কি কারও মা-বাবা, ভাই-বোন সন্তানাদি ছিলনা?

খুনের সমালোচনা খুনিদের মুখে শোভা পায়না। শোভা পায় মান+হুস ওয়ালা মানুষের মুখে। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদগণ মানুষ নন, উনারা চোর, খুনি, সভ্যতার বাই-প্রোডাক্ট। নোংরামির এ দৌড়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ বাকি সবার চাইতে দশ ক্রোশ এগিয়ে। তাই দলকানা নেত্রীদাসদের অনুরোধ করব অবরোধের বলি হয়ে যারা লাশের মিছিলে নাম লেখাচ্ছে দয়া করে তাদের ছবি ছাপিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করবেন না। কারণ যাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এসব করছেন তারা পশুত্বের জন্মদাতা, খুন ও খুনির পিতামহ। কোথায় ছিল আপনাদের কলম যখন আওয়ামী পশুরা রাজপথে লাশের লঙ্গরখানা খুলেছিল, চলন্ত বাসে আগুন ধরিয়ে কয়লার ভান্ডার তৈরী করেছিল? আপনাদের বিচারে আওয়ামী লীগের বাইরে বাকি সবাই কুকুর বিড়াল, তাই তাদের খুন করা অন্যায় কিছু নয়, বরং তা চেতনার পবিত্র দায়িত্ব। একটা সত্য মনে রাখলে দেশ ও দশের উপকার বৈ অপকার হবেনা, রাজনৈতিক পছন্দ এ দেশে জন্ম নেয়া প্রত্যেকটা মানুষের জন্মগত অধিকার। এ পছন্দ হতে বিএনপি অথবা জামায়েত নামক রাজনৈতিক দল দুটোও বাদ দেয়া যাবেনা। ৭১'সালের একদল খুনিকে কুমিরের বাচ্চা বানিয়ে গোটা রাজনীতি তথা দেশকে পারিবারিক সম্পত্তি বানানোর দেলোয়ার হোসেন সাইদী ধাঁচের ওয়াজ আমরা অনেক শুনেছি। এ ওয়াজের আসল উদ্দেশ্য ও বিধেয় বুঝতে আমাদের এখন আর অসুবিধা হয়না।

বিরোধী দলের লাশ মহোৎসব নিয়ে আহাজারি করার বিশেষ কোন কারণ নেই, বরং অপেক্ষা করুন এবং দেখুন মোজাম্মেল বিচারকদের কিছু হয় কিনা। বিচারক নামক এসব দলীয় ক্যাডারদের লাশ পড়লে বরং শোক করবেন, সহানুভূতির বাজার খুলে অশ্রুপাত করবেন। আর আমরা যারা দলকানা নেত্রীদাস নই তারা সেদিন বাজারে সওদা করতে আসব। কে জানে হয়ত সেদিন সে লাশের মহোৎসবেও যোগ দেব। গনতন্ত্র রক্ষার সোল এজেন্সি নিয়ে মইনদ্দিন ফখরুদ্দিনদের ক্ষমতা দখল বন্ধ করার মিশনে নেমেছেন নেত্রী। এ মিশনে বিরোধী দলের প্রায় সব নেতাকে খাচায় আবদ্ধ করেছেন। অথচ মুয়া ফুয়াদের সহযোগী জেনারেল মাসুদকে হাইকমিশনার বানিয়ে পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। একই গংয়ের বাকি উপদেষ্টারাও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশের মাটিতে। আমরা কি এতটাই অশিক্ষিত জনাবা সাইদীর এসব ওয়াজ নসিহতের বাংলা অনুবাদ বুঝতে?

ভালো লাগলে শেয়ার করুন