সুরঞ্জিত বাবু ও একজন স্বনামধন্য চোরের ডায়রিয়া

Submitted by WatchDog on Thursday, November 22, 2012

Shuranjit Gupta

আবারও তিনি মুখ খুলেছেন। কেবল খুলেছেন বললে কম বলা হবে, বরং উদাম করে দিয়েছেন। উদরে জমে থাকা ডায়রিয়া গুলো বের করে দিয়েছেন একই সাথে। সুরঞ্জিত বাবুর ডায়রিয়ার গন্ধ এতটাই প্রকট প্রতিরোধের জন্যে সুদূর মার্কিন মুলুক বসেও নাকে কাপড় দিতে হয়। গতকাল প্রেসক্লাবে বসে বাবু তেমন একটা কাজটাই সেরে ফেললেন। ঢাকা প্রেসক্লাবের একটা গৌরবময় অতীত আছে। আমাদের গর্ব করার মত যা কিছু আছে তার সাথে এই ক্লাবের সহাবসস্থান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। রাজনৈতিক বিভক্তির কারণে দেশের সবকটা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আজ ছিন্নভিন্ন। সাংবাদিক সমাজও এর বাইরে নন। কিন্তু এর ফাঁকেও এই পেশার মানুষ অলিখিত কিছু স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখেন যা পেশাজীবী হিসাবে তাদের গ্রহণযোগ্যতার পূর্বশর্ত হিসাবে কাজ করে থাকে। একই ক্লাব যখন সুরঞ্জিত বাবুর মত একজন বিতর্কিত চোরকে তার রাজনৈতিক ডায়েরিয়া উদগীরণের সুযোগ করে দেয় গণতান্ত্রিক সুশাসনের প্রতি সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।

সুরঞ্জিত বাবু চোর। ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করার যে কুৎসিত চেহারা জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্ব চুরির ইতিহাসে তা শিক্ষণীয় উপাদান হিসাবে কাজ করতে বাধ্য। এই চোর প্রেসক্লাবের চেয়ারে বসে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের আরেক চোর তারেক জিয়ার চুরি নিয়ে। সুরঞ্জিত বাবু জাতির কাছে জানতে চেয়েছেন তারেক জিয়া সৎ হলে দেশ অসৎ কে? বাবু আসলে উত্তর দিচ্ছিলেন খালেদা জিয়াকে। কারণ মাত্র একদিন আগে অন্য এক সমাবেশে বিরোধী দলীয় নেত্রী দাবি করেছিলেন তার বড় ছেলে তারেক জিয়া নাকি ফুলের মত পবিত্র। বাবুর পছন্দ হয়নি এই মিথ্যাচার। তাই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে প্রতিবাদ করলেন এবং দাবি করলেন ‘এ দেশের মানুষের স্মৃতি দুর্বল হলেও স্মৃতিবিস্মৃতি ঘটেনি। আপনার (খালেদা) আমলে করা দুর্নীতি তারা (জনগণ) এখনো ভোলেনি‘। কথাটা একবারে মিথ্যা নয়। তারা, মানে আমরা ম্যাঙ্গোরা, আসলেই ভুলিনি তারেক-ককো-মামুন-হারিস গংদের কলঙ্কিত অধ্যায়। স্মৃতি দুর্বল এ দেশের মানুষ তাই গেল নির্বাচনে তাদের ভোট না দিয়ে দিয়েছিল আবুল-সুরঞ্জিত গংদের। কোথায় আজ আবুল হোসেন? কোথায় আজ শাসনতন্ত্রের খলিফা হযরত মাওলানা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত? নির্বাসিত নয় কি? তারেক-ককোদের ধরেছিল বিদেশী সংস্থা, আর সুরঞ্জিত বাবু বস্তা সহ ধরা পরেছিলেন একজন ড্রাইভারের হাতে। পার্থক্যটা কোথায়? কোটি কোটি মানুষের চোখে তারেক যেমন চোর সুরঞ্জিত বাবুও একজন মার্কা মারা চোর। আমাদের বাবুর হাটে হলে এমন চোরকে মাথা মুড়িয়ে, উলঙ্গ করে, হাতে হারিকেন ধরিয়ে বেওয়ারিশ কুত্তার মত পেটানো হত।

সুরঞ্জিত বাবুর ভাগ্য ভাল যে জন্ম নিয়েছিলেন হাসিনার বাংলাদেশে। ইজ্জতের চেম্বারে লাজ লজ্জা নামক সামান্যতম জিনিষ থাকলে এই চোর সমাজে মুখ দেখাতেন না। অথচ তিনি কেবল মুখই দেখাচ্ছেন না, বরং অন্যদের চুরি নিয়ে মুখ উদাম করছেন। লুটপাটের সৈনিক তারেক-ককোদের ইতিহাসের বয়স প্রায় পাচ বছর। ঘাত সংঘাতে ভরপুর জীবনে পাচ বছর অনেক সময়। অনেক কিছুই ভুলে যাওয়া সম্ভব এ সময়ে, ইনক্লুডিং স্বনামধন্য তারেক পর্ব । কিন্তু চুরির সমীকরণে সুরঞ্জিত চোরের বয়স মাত্র কয়েক মাস, তাই কালো বিড়াল শিকার করার এ ’গৌরবজ্জ্বল’ অধ্যায় তারেক পর্বের চাইতেও ফ্রেশ। চোর সুরঞ্জিতের চুরির আধ্যায় ভুলার কোন উপলক্ষই তৈরী হয়নি। বিশেষ করে আমার মত ম্যাঙ্গোদের।

ধিক সুরঞ্জিত ধিক!!! হাসিনার চোখে তুই মন্ত্রী হলেও আমাদের কাছে তোর একটাই পরিচয়ঃ চোর, স্রেফ চোর!!!

ভালো লাগলে শেয়ার করুন