'পিতার' স্বাধীনতা ঘোষনা

Submitted by WatchDog on Monday, November 3, 2014

শেখ মুজিবকে কেউ যদি জাতির পিতা অথবা নিজের পিতাও মানতে চায় তা একান্তই তার নিজের পছন্দ। এ পছন্দ তার জন্মগত অধিকার। অধিকার হরনকারীরা শয়তানের ভাই এবং গনতন্ত্র তথা মানবতার শত্রু। একই ভাবে কেউ যদি নিজের পিতার বাইরে দ্বিতীয় কোন পিতা দত্তক নিতে অস্বীকার করেন সেটাও তার জন্মগত অধিকার। আইন করে আর হামলা মামলা দিয়ে এ অধিকার কেড়ে নেয়ার অপরনাম নাম স্বৈরতন্ত্র। একবিংশ শতাব্দির বিশ্বায়নের যুগে স্বৈরতন্ত্রের কোন স্থান নেই।

শেখ মুজিবকে পিতা মানার বাধ্য বাধকতা বাস্তবায়ন করতে চাইলে দেশের শাসনতন্ত্র সংশোধন প্রয়োজন। তার জন্য চাই দুই তৃতীয়াংশ ভোটারের ম্যান্ডেট। আয়োজন করা হোক এমন একটা ভোট এবং তা হতে হবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। শতকার ৫ ভাগ মনুষ্য ভোট এবং বাকি গরু, ছাগল ও কুত্তা বিলাইয়ের ভোটে নির্বাচিত একদল জন-কুত্তা প্রতিনিধিদের আর যাই থাকুক শাসনতন্ত্র সংশোধন করার অধিকার নেই। ওরা ব্যাংক লুটতে চায়, লুটুক। রেলের কালো বিড়ালের কাধে চড়ে আমু দরিয়া পাড়ি দিতে চায়, দিক। ছ্যাবলা আর ক্যাবলাকান্তদের মত হাটে-মাঠে-ঘাটে গান গাইতে চায়, গাক। সত্তর বছর বয়সে ২৫ বছরের নারীকে শাদীর নিমিত্তে ৫০ লাখ টাকা খরচ করে গায়ে-হলুদের আয়োজন করতে চায়, করুক। কিন্তু শাসনতন্ত্র! আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা গরু ছাগলের জন্য শাসনতন্ত্র নয়। শাসনতন্ত্র মানুষের জন্য। আওয়ামী লীগ সে মানুষের ভোটে ক্ষমতায় আসুক। তারপর দেখা যাবে কে পিতা আর কেই-বা মাতা।

http://www.amibangladeshi.org/blog/11-01-2014/1485.html


 photo 3_zps1a5d5569.jpg

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রি তাজউদ্দিন আহমেদ তনয়া শারমিন আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (মুজিব কাকু) স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে চাননি। দেশদ্রোহিতার জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁর বিচার করতে পারে এমন আশংকায় তিনি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর থেকে বিরত থাকেন। গত শুক্রবার, এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক কাজী আলম বাবু।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিতে দিয়ে শারমিন আহমদ বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ মার্চ ভয়াল কালো রাতে আব্বু গেলেন মুজিব কাকুকে আনতে। মুজিব কাকু আব্বুর সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন। সে ব্যাপারে আব্বু মুজিব কাকুর সাথে আলোচনা করেছিলেন। মুজিব কাকু সে ব্যাপারে সম্মতিও দিয়েছিলেন। আর সে মোতাবেক স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং টেপ রেকর্ডার নিয়ে আব্বু হাজির হন মুজিব কাকুর বাড়িতে। কিন্তু টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান। কথা ছিলো, মুজিব কাকুর স্বাক্ষরকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমানে রূপসী বাংলা) অবস্থিত বিদেশী সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। আব্বু বলেছিলেন, ‘মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে, কারণ আমাদের সবাইকে যদি গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ জানবে না, কি তাঁদের করতে হবে।’ মুজিব কাকু তখন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। আর এক্ষেত্রে পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারে।’

ভালো লাগলে শেয়ার করুন