ছেনাল কাহিনী

Submitted by WatchDog on Sunday, August 24, 2014

Bangladesh

ছেনাল প্রকৃতির একজন মহিলার সাথে পরিচয় আছে আমার। পরিচয়ের শুরুটা অবশ্য ছেনালপনার মধ্য দিয়ে নয়। এ রাস্তায় নাম লেখানোর অনেক আগে। নিম্ন মধ্যবিত্ত হতে উঠে আসা এই কৃষ্ণ সুন্দরী কোন মন্ত্রবলে আমার বন্ধুকে বশ করেছিল সে রহস্য আজ পর্যন্ত জানতে পারিনি। গুলশানের বাসিন্দা সম্পদের পাহাড়ের উপর গড়াগড়ি খাওয়া আমার বন্ধু তখন বিবাহিত। দুই সন্তানের জনক। তার ব্যক্তিগত জীবন কখন কোন নদীতে হাবুডুবু খায় তা নিয়ে কোন কালেই মাথা ঘামায়নি। তাই অবাক হয়নি যেদিন পরিচয় করিয়ে দিল এই মহিলার সাথে। বন্ধুর চরিত্র ফুলের মত পবিত্র এমনটা সত্যায়িত করারও সুযোগ ছিলনা। এর আগেও বৈবাহিক জীবনের বাইরে চালিয়ে যাওয়া বহু-গামী জীবনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। সবই ছিল ক্ষণস্থায়ী। অভিজাত এলাকায় সুরম্য ফ্লাট ভাড়া করে অস্থায়ী স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ভোগ করত তাদের। যাদের রাখত তারাও জানত কি হচ্ছে এখানে। এ নিয়ে কারও কোন অভিযোগ ছিলনা। ব্যবসার নাম করে প্রায়ই সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, সিডনি উড়ে যেত। সাথে থাকতো এসব ললনাদের কেউ একজন। স্ত্রীর সাথে টানপোড়নের শুরুটা বোধহয় এখানেই। কৃষ্ণ সুন্দরীর ব্যাপারটা কেন জানি অন্যরকম মনে হল। মহিলা মুখে নয় চোখের ভাষায় কথা বলেন। একদিনের মধ্যে পরিচয় পর্ব আপনি হতে তুমি, তুমি হতে তুই’এ চলে গেল। আমার শুধু বিস্মিত হবার পালা। এমন মহিলাও বাংলাদেশে আছে বিশ্বাস করতে কষ্ট হল। দুদিন যেতেই বন্ধুকে চেপে ধরলাম। তাতেই বেরিয়ে এলো আসল খবর। বিয়ে করেছে তারা।

বন্ধু এবং তার পছন্দের স্বাধীনতাকে কাঠগড়ায় দাড় করানো আমার কাজ ছিলনা। তাই অস্বাভাবিক মনে হলেও চেপে গেলাম কাহিনীর ভেতরে ঢুকার ইচ্ছা গুলো। নিজের জন্য একটাই উপসংহার টানতে হল, মারাত্মক একটা ভুল করেছে সে। বছর না গড়াতে আমার ধারণা সঠিক প্রমাণিত হল। বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তাদের। নিকেতনের কোথাও বিশাল একটা ফ্লাটের বিনিময়ে শোধরে ফেলেছে নিজের ভুল। মূল্য আরও দিতে হয়েছে তাকে, নিজের প্রথম স্ত্রী ত্যাগ করেছে তাকে। তাতে খুব একটা বিচলিত মনে হলোন। গর্ব করে জানাল তালাক দেয়া স্ত্রীর দুই খালাত বোনের সাথে খুবই রগরগা সম্পর্ক তার। পালা করে তাদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছে।

যে যাত্রায় অনেকদিন দেশে যাওয়া হয়নি। তাই ভুলেই গিয়েছিলাম বন্ধুর কথা। অপ্রত্যাশিত একটা ফোন পেয়ে পেয়ে ফিরে গেলাম বন্ধুর জীবনে। কৃষ্ণ সুন্দরীর ফোন। সে এখন নিউ ইয়র্কে। কোন এক ছেলে বন্ধুর সাথে বেড়াতে এসেছে। অদ্ভুত একটা প্রস্তাবে আমি মাটি হতে উড়ে আকাশে চলে গেলাম। আমার এখানে আসতে চায় সে। টিকেট পাঠাতে হবে। চাইলে কটা মাস আমার সাথে বাস করে যাবে। আমি তখন একা। চাইলে এমন কিছু করার সামাজিক ও নৈতিক অধিকার ছিল। আমিও খোলামেলা ভাবে অনেকটা কৌতুকের সাথে জানালাম আমার ডিমান্ড গুলো। তিন বেলা রান্নাবান্না করতে হবে, ঘরবাড়ি ঝাড়ু দিতে হবে। ছেনালপনার বাকি অংশকে তালাক দিতে হবে। ইতিমধ্যে জানা হয়ে গেছে তার আসল পরিচয়। পুরুষ খেকো এই মহিলার মুল উদ্দেশ্য জীবন উপভোগের পাশাপাশি বেকায়দায় ফেলে সুবিধা আদায় করে নেয়া। কৃত্রিম বিস্ময়ে জানতে চাইল তার নৈশ জীবন ও পুরুষ বন্ধুদের তাহলে কি হবে! আমি সুন্দর একটা প্রস্তাব দিলাম। সব বন্ধুদের নিয়ে এখানে চলে আস। স্থানীয় সমকামী বারে আফ্রিকান পুরুষদের সাথ পরিচয় করিয়ে দেব এবং নিয়মিত তাদের সাথে পাছা মারা দিতে হবে। টোপ না গেলায় হতাশ হল সে এবং চমৎকার সব জিনিস হাতছাড়া করছি বলে লোভ দেখাল। লা কুম দিনু কুম জানিয়ে চীর বিদায় জানালাম তাকে।

বেশ কবছর পর নতুন করে আবিষ্কার করলাম তাকে। তাও ফেসবুকে। শত শত ছবি। লন্ডন, প্যারিস, ভেনিস, কোপেন হেগেন, বুয়েনিস আয়েরিস সহ পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক শহর। প্রোফাইলে দেখলাম ঢাকার নামকরা স্কুল কলেজ শেষ করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি হতে এমবিএ ডিগ্রী নিয়েছে। আমার জানামতে সপ্তম শ্রেনী শেষ করতে পারেনি সে। তার আগেই পাড়ার বখাটে কোন ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। তেজকুনী পাড়ার কোন এক গলিতে আজও তার মা-বাবা অভাব অনটনে ধুকধুক করছে। ভাইরা বাজারে ড্রাগ ব্যবসায়ী। ছোট দুই বোন বড় বোনের মত একই রাস্তায় হাটার চেষ্টা করছে।

এই লেখাটা লেখার কোন প্রয়োজন হতোনা যদিনা ছেনালি্পনার সর্বশেষ সংযোজনাটা না দেখতাম। নাসির হোসেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টার। ছেনালপনার কতটা গভীরে এই উদীয়মান খেলোয়াড় পা ঢুকিয়েছে তা জানা নেই। তবে নৈশ আসরে একজন ছেনালের সাথে অন্তরঙ্গ ছবিই অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিম্নমূখী অভিযানে এসব ছেনালদের ভূমিকাটাও খতিয়ে দেখার দরকার আছে বলে মনে করি।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন