তুফান সরকারের তুফানী দুনিয়া...

Submitted by WatchDog on Wednesday, August 2, 2017

বুঝলাম আমাদের তুফান সাহেব পুরুষ মানুষ (মান+হুশ)। ক্ষমতার সারিবাদী সালসা খেয়ে সর্বদা যৌনক্ষুধায় কাতর থাকেন। ২/১টা ধর্ষন করতেই পারেন। একজন শ্রমিক লীগ সভাপতির এই সুবিধাটুকু বঞ্চিত করলে নিশ্চয় তার উপর অন্যায় করা হবে। হাজার হলে এই সরকার সাহেবদের হাত ধরেই যে যে বিম্পি-জামাতে কিলিবিল করা বগুড়াকে ৭১'এর কায়দায় মুক্ত করা হয়েছিল। নিশ্চয় দুদিন আগপর্যন্ত সরকার সাহেব তার হাইকম্যান্ডের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। যুদ্ধজয়ীরা পরাজিতদের ভোগ করে, এ অধিকার আমাদের ধর্মেই লিপিবদ্ধ আছে। তবে বোধগম্য হয়না ধর্ষনের পর সরকার সাহেবের স্ত্রী, স্ত্রীর বড় বোন আর শাশুড়ি কেন ধর্ষিতার উপর ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন! প্রতিশোধের জন্য? কিসের প্রতিশোধ? নাকি তারা তিনজনও 'স্লাইস অব দ্যা কেক'এর ভাগ চেয়েছিল? অর্থাৎ সমকামীত্ব! নাকি এই তিনজনের আক্রোশটা ছিল কেন ধর্ষিতা তার পরিধানের কাপড় বজ্র আটুনিতে অটুট রাখতে পারেনি। সরকার সাহেব ধরে আনলো আর দা-কুড়াল সমৃদ্ব সাঙ্গপাঙ্গদের ইশারায় ধর্ষিতা কাপড় টুপ করে খুলে ফেললো, এটাই কি ছিল প্রতিশোধের উপলক্ষ্য? হতেও পারে। আমি বা আমার পরিবারের কেউ যুদ্ধ করে বীর হয়নি, তাই বীর পরিবারের স্ত্রী, ননদ আর শাশুড়িদের মন বুঝার অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ পাইনি।

বগুড়ার এ ঘটনা ভার্চুয়াল দুনিয়ার বদৌলতে এখন ভাইরাল। প্রথমে খটকা খেয়ে থমকে থাকলেও পরিবর্তীতে প্রায় সব মিডিয়াতেই খবরটা সমান গুরুত্ব পেয়ে আসছে। সরকারের গু-মুত খাওয়া সংবাদ মাধ্যমে খবরটার রাজনৈতিক চরিত্রের চাইতে এর অপরাধ পর্বটাকেই বেশী হাইলাইট করা হচ্ছে। অনেক বেহুশ ও বেফানা আদম ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে প্রানপ্রিয় মাননীয়া নেত্রীর কাছে জোর আবেদন নিবেদন করে যাচ্ছেন। অনেকে আবার সরকার সাহেবকে এখনই বধ্যভূমিতে নিয়ে ক্রসফায়ার নাটকের মূখ্য চরিত্র বানাতে দাবী জনাচ্ছেন। আমার কেন জানিনা তুফান সাহেবের চাইতে এ জাতীয় আদমদের প্রতি ঘৃণার পরিমানটা একটু বেশি বেশি উগড়ে উঠছে। খেউড় খিস্তি করার সুযোগ থাকলে বলতাম, আরে চুদির ভাইসকল, তুফান সরকারের নিম্নাঙ্গের তুফান মেইলে যারা তেল-মবিল যোগান দেয় তাদের কি তোরা চিনিস না? না চিনলে বলতে বাধ্য হব তোদের জন্মটাই ডিফেক্টিভ। ২১ ক্রমোসমের কয়েকটাতেই ডিফেক্ট আছে। বলতাম, রে চান্ডালের দল, যে মাননীয়ার কাছে সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছিস, তিনিই কি তুফানের জন্মদাত্রী নহেন? তিনিই কি লালনকারী নহেন? তুফান কেবল ইন্ডিভিজুয়াল একটা নাম নয়, এ একটি পরিপূর্ণ ইন্সটিটিউট। দেশজুড়ে রাজত্ব করা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ইন্সটিটিউটের একটি গুটির নাম এই তুফান। তুফান যখন পরিধানের কাপড় খুলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করছিল সেখানে সে একা ছিলনা, সাথে ছিল তার নেত্রী, তার নেতা, তার রাজনৈতিক দল। লুট করার রাস্তাটা তুফান মেইল যেমন একা তৈরী করেনি, তেমনি ধর্ষণ করার প্রেক্ষাপটও তার একক কর্ম নয়। যে গাড়িতে করে মেয়েটিকে উঠিয়ে এনেছিল সে গাড়িটা কেনা নেত্রীর কৃপায়। তার পেট্রোল কেনা দলীয় লাইসেন্সে। যে আন্ডারওয়্যারের আড়ালে তার হিংস্র মেইল লুকানো থাকে সেটার যোগানদাতাও ফ্যাসিবাদী ইন্সটিটিউট। মাননীয়ার নেত্রীত্বে অবৈধ জারজ এই সরকার ক্ষমতায় না থাকলে একজন তুফানের জন্ম হতোনা, এই সহজ সরল সত্যটুকু যেদিন আমরা বুঝতে পারবো, চিৎকার করে বলতে শুরু করবো সেদিনই তুফানদের তুফানী দুনিয়ায় আগুন লাগবে। একজন ধর্ষকের আসল বিচার হবে তখনই যখন তার ইন্সটিটিউটের কোমর ভেঙ্গে ফেলা যাবে।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন