শিক্ষকদের ক্ষুধা

Submitted by WatchDog on Monday, June 15, 2015

ইদানীংকালের দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা গুলো হাতড়ালে মনে হবে আমাদের শিক্ষক কুলের একটা বিরাট অংশ স্থায়ীভাবে যৌন ক্ষুধায় ভুগছে । আফ্রিকার সোমালিয়া ও ইথোপিয়ার দুর্ভিক্ষের কায়দায় শিক্ষক সমাজেও দেখা দিয়েছে শতাব্দীর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ...যৌন দুর্ভিক্ষ। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাঙ্গন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে শুরু করে পশ্চিমা ধাঁচের ইংরেজি মাধ্যমর স্কুল গুলোতেও এ ক্ষুধা ছড়িয়ে পরছে। অনেকটা মহামারী আকারে তা প্রসারিত হচ্ছে গ্রামে গঞ্জে। কেবল শিক্ষক সমাজই নয়, বরং শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত দারোয়ান মেথরের দলও নাম লেখাচ্ছে ক্ষুধার্তের তালিকায়। ওরা প্রথম শ্রেণীর শিশুদের গায়েও হাত দিচ্ছে। হাত দিচ্ছে বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে, ওঁত পেতে থাকছে টয়লেটে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকরা নিজেদের ক্ষুধা নিবারণের স্থায়ী ব্যবস্থা হিসাবে বেছে নিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভুলিয়ে বালিয়ে নিজেদের শিকারকে বিছানা পর্যন্ত নিতে পারলে ওখানে তৈরি করছে রগরগা নীল ছবি। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে শিকারদের ব্লেকমেইল করছে। বিনিময়ে নিশ্চিত করছে ক্ষুধা নিবারণের স্থায়ী আহার। গ্রামে গঞ্জে এ ক্ষুধা প্রকট হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, মাদ্রাসায়, মসজিদে। তিন চার বছরের শিশুদেরও রেহাই দিচ্ছেনা শিক্ষকরা। গৃহশিক্ষকদের ক্ষুধার মাত্রা আরও ভয়াবহ। ওরা বাড়িতে পড়াতে এসে ছাত্রী ছাড়া অন্য কাউকে না দেখলে ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পরছে। আগ পিছ না ভেবে ঝাঁপিয়ে পরছে অসহায় শিশুদের উপর। সোমালিয় দুর্ভিক্ষের সময় আকাশ হতে ছুড়ে ফেলা জাতিসংঘের ত্রাণের উপর ক্ষুধার্ত আফ্রিকানরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তো অনেকটা সে কায়দায়। আমার কেন জানি সন্দেহ হয় শিক্ষক ও শিক্ষা ব্যবস্থায় ইয়াবা, ভায়াগ্রা এখন ম্যান্ডেটরি আইটেম। ছাত্রীদের সান্নিধ্যে আসার আগে সব শিক্ষকই বোধহয় ভায়াগ্রা সেবনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। নইলে কেমন করে এটা সম্ভব একজন শিক্ষক চার বছরের একটা শিশুকে ধর্ষণ করে বীর-দর্পে সমাজে দাপিয়ে বেড়ায়? পিতামাতা হয়ে আমরাও নীরবে আত্মসমর্পণ করছি সহাস্রাব্দির এই ভয়াবহ অবক্ষয়ের কাছে। যে কোন মান+হুস ওয়ালা সাধারণ মানুষের ভেতর রক্তের দাপাদাপিতে মহাপ্রলয় ঘটে যাওয়ার কথা যখন কেউ তার নাবালক সন্তানের দিকে কুনজরে তাকায়। অথচ কুনজর পেরিয়ে ঘটনা গড়াচ্ছে ধর্ষণে। কোন প্রতিবাদ নেই...নেই কোন প্রতিশোধ। ভাগ্য ভাল শিক্ষকদের...আমি আমার সন্তান নিয়ে এখন দেশে নেই। নইলে মায়ের পেটের কোন আদম সন্তান আমার সন্তানের দিকে হাত বাড়ালে আমি তার ক্ষুধা নিবারণের যন্ত্র কসাইদের কুড়াল দিয়ে ঘ্যাঁচ করে কেটে কুকুর বেড়াল দিয়ে খাওয়াতাম।

ওয়াক থু!

ভালো লাগলে শেয়ার করুন