দাসীবৃত্তিতে নাম লেখান, or get the hell out of Bangladesh!

Submitted by WatchDog on Saturday, May 22, 2010

মুখ ফসকে এমন খবর বের হওয়ার কথা নয়, বিশেষ করে সরকারের একজন ফুল মন্ত্রীর মুখ হতে। পানি সম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন গত ১২ই মে ঠাকুরগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে এমন কিছু কথা বলেছেন যা আমলে নিলে গোটা মন্ত্রিসভাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। ছাত্রলীগের অনেক হেভিওয়েটদের উপস্থিতিতে মন্ত্রী ঘোষনা দেন পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগে ইতিমধ্যে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী ঘরণার লোক। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার পুলিশ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় যে সমস্ত নিয়োগ দিতে যাচ্ছে তার জন্যেও দলীয় লোকজনের সন্ধান করছে। এখানে থামলেই বোধহয় ভাল করতেন বর্ষীয়ান এই নেতা। না থেমে আরও একধাপ এগিয়ে উনি যা ঘোষনা দেন তা শুনে উপস্থিত শ্রোতাদের সবাই থ। মন্ত্রীর মতে, সরকার চ্যানেল ওয়ানের মত আরও কয়েকটা চ্যানেল বন্ধের চেষ্টা করছে। মন্ত্রীর কথা আমলে নিলে আমাদের বিশ্বাস করার কারণ আছে হাসিনা মন্ত্রিসভার ২০-২২ জন ফুল মন্ত্রী বাদে হাফ মন্ত্রীদের অনেকেই দুর্নীতির সাথে জড়িত। সম্মেলনে উপস্থিত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জনাব রিপন ও অন্যান্য নেতাদের চাপে স্থানীয় সাংবাদিকরা খবরটা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হতে বিরত থাকে। দৈনিক কালের কণ্ঠ সভায় ধারণকৃত ভিডিও হতে মন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধার করে উনার মন্তব্য জানতে চাইলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের দেশপ্রেমী হওয়ার উপদেশ দেন।

এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে এক সপ্তাহও পার হয়নি। ছাত্রদের অনেকেই কলেজের দরজায় নক করা শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যে। দলীয় সদস্য সংগ্রহে ভাল একটা মেসেজ দিয়েছেন মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ আর ওলামা লীগ না করলে ছাত্রদের জন্যে চাকরীর দুয়ার বন্ধ। সরকারের মন হয় উচিৎ হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে চাকরীর বাজারে এই আওয়ামী ফ্যাক্টর খোলাসা করা। Be an Awmi Leauger or you have no place in Bangladesh!

এতদিন জানতাম নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে একটা দল সরকার গঠন করলে সে সরকার হয় গোটা জনগণের। মন্ত্রীর কথা আবারও প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ নিজেদের শতকরা ৪০ জনের সরকার ভাবতেই বেশী পছন্দ করে। আমাদের বোধহয় পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দলীয় নিয়োগের সার্কাসে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীরা কোন খেলা নিয়ে হাজির হয় তা দেখার জন্যে।

পাঠক, আপনার যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিতে দেরী করছেন তাদের বলবো, দৌড়ান! গলির ধারের যে কোন আওয়ামী অথবা এর অংগ সংগঠন অফিসে গিয়ে এখনই নিজের যোগদান নিশ্চিত করুন, সাথে ছেলেমেয়েদের যোগ দিতে বাধ্য করুন। মা-বাবার কষ্টের পয়সায় লেখাপড়ার কোনই মূল্য থাকবে না যতক্ষণ না বাংলাদেশের সোল প্রোপাইটার শেখ পরিবারের দাসীবৃত্তিতে নাম লেখাচ্ছেন। গুডলাক।

http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=single&pub_no=171&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&news_id=58238

ভালো লাগলে শেয়ার করুন