আমি নষ্টের খাতায় নাম লেখাচ্ছি। দুঃখিত।

Submitted by WatchDog on Sunday, February 2, 2014

Bangladesh

ফেবুতে লেখালেখি নিয়ে এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। প্রাসঙ্গিক ভাবে এসে গেল আমার স্টেট্যাসের কথা। নতুন কিছু না লিখে বরং পুরানো লেখাই ইনিয়ি বিনিয়ে প্রকাশ করছি। যারা অনেকদিন ধরে আমার সাথে আছেন কিছুটা অবাক হতে পারেন বৈকি। রুচি হয়না নতুন কিছু লিখতে। তাই এ নিয়ে আর সময় ব্যায় করছিনা। কি বোর্ডে হাত দিলে কেবল গালাগালি লিখতে ইচ্ছে করে। কুৎসিত সব শব্দ মগজে কিলবিল করতে থাকে। বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা ছিনিয়ে এক মহিলা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন। সাথে তামাশার পাত্র হিসাবে যোগ করছেন মন্ত্রিসভা নামের সার্কাস পার্টি। স্ত্রী নামের একজনকে সাথে নিয়ে ক্লাউন হিসাবে যোগ দিয়েছেন দেশটার ৯ বছরের জারজ প্রেসিডেন্ট হোমো এরশাদ। যারা এই সার্কাস দলের শো উপভোগ করতে পারছেনা তাদের মস্তক বরাবর তাক করানো আছে কালাসনিকভ রাইফেল। যাদের ইমিডিয়েট খুন করতে সরকার শরম পাচ্ছেন তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর। র‍্যাব, পুলিশের অবৈধ কাজে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছেন দেশের বিচারকগণ। দেশের এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা না চাইলেও মনে করিয়ে দেয় ১৯৭৫ সালে কম্বোডিয়ায় খেমাররুজদের ক্ষমতা দখলের ইতিবৃত্ত।

১৯৭৫ হতে ১৯৭৯...চীনা বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রানিত খেমাররুজরা ক্ষমতা হাতে নিয়েই মেতে উঠে পৈশাচিক উল্লাসে। ফ্রান্সে শিক্ষা নেয়া পলপট এবং তার দোসর ইয়াং সারি চক্রের তত্ত্ব ছিল সবকিছু শূন্য হতে শুরু করতে হবে। আর এ পথের মূল অন্তরায় দেশটার শিক্ষিত সমাজ। সুতরাং যে কোন বিপ্লবের শুরু হতে হবে তাদের দিয়েই। জনসংখ্যার গোটা শিক্ষিত অংশকে পৃথিবী হতে নির্মূলের ডিক্রি জারি করেন পল পট চক্র। শুরু হয় লাশের মিছিল। আজকের বাংলাদেশের মতই গোটা কম্বোডিয়া তলিয়ে যায় লাশের মিছিলে। তিন বছরের মাথায় নির্মূল প্রকল্পের আওতায় মোট জনসংখ্যার শতকরা ২৫ ভাগ মানুষকে লাশ বানাতে সক্ষম হয় খেমাররুজ বাহিনী। কিলিং মিশনে যোগ দেন খোদ পল পট। এবং একান্ত বিশ্বস্ত খুনি হিসাবে পাশে দাঁড়ান নিজের স্ত্রী। ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামিদের আগ্রাসনের কারণ কম্বোডিয়ান জাতি পরিত্রাণ পায় আগ্রারিয়ান সোস্যালইজমের প্রবর্তক খেমাররুজ খুনিদের হাত হতে। ক্ষুদ্র এই দেশটার হাটে মাঠে ঘাটে আবিস্কৃত হয় ২০,০০০ গণকবর। তালিকাবদ্ধ করা হয় ৩০ লাখ মৃত্যুর।

এ যুগের পলপট আমাদের জারজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নব্য খেমাররুজ আওয়ামী লীগ যা করছে তার বিরুদ্ধে কলম ধরার কিছু নেই। এদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে গেলে বাংলা ভাষায় অনেক নতুন শব্দ যোগ করতে হবে। এত সময় কোথায়? তাই শেষ আশ্রয় হিসাবে বিবেচনায় আসে গালি। তাই দিনদিন আমি গালিতে পারদর্শী হয়ে উঠছি। ক্ষমা চাইছি তাদের কাছে যারা আমার লেখায় ধারাবাহিকতা হারানোর গন্ধ পাচ্ছেন। মৃত্যু উপত্যাকায় ভাষা চর্চা আমাকে দিয়ে হবেনা। তাই নষ্টের খাতায় নাম লেখাচ্ছি। দুঃখিত।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন